বিলকিস বানো মামলায় বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের। দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিল করল দেশের শীর্ষ আদালত। আদালত বিলকিসের আবেদন শুনানির যোগ্য বলে বিবেচনা করেছে। আদালতের তরফে বলা হয়, মহিলারা সম্মান পাওয়ার যোগ্য, একথা ভুলে গেলে চলবে না।
২০২২ সালের অগাস্টে গুজরাত সরকার বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ১১ আসামীকে মুক্তি দেয়। দোষীদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় বিলকিস। আর সুপ্রিম কোর্ট বিলকিসের পক্ষে রায় দেয়। এই রায়ের পর বিলকিসের দোষীদের জেলে যেতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তাদের তরফে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ২০২২ সালের মে মাসের আদালতের আদেশের উপর ভিত্তি করে। সুপ্রিম কোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করে এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য তৈরি করে, গুজরাত সরকারের কাছে দোষীরা সাজা মকুবের আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদন খারিজ করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরথনা ও বিচারপতি উজ্জল ভূঁইয়ার বেঞ্চ সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেয়। টানা ১১ দিন আদালতে মামলার শুনানি হয়। শুনানির সময়, কেন্দ্রীয় ও গুজরাত সরকার দোষীদের শাস্তি মুকুব সংক্রান্ত মূল রেকর্ড পেশ করে। গুজরাত সরকার দোষীদের ক্ষমা করার সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েছিল আগেই। তবে সুপ্রিম কোর্ট দোষীদের আগাম মুক্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলে।
আদালত সাফ জানায়, তারা সাজা মুকুবের বিরুদ্ধে নয়। তবে দোষীরা কীভাবে সাজা মুকুবের যোগ্য হলেন তা স্পষ্ট করা উচিত। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করেছিল, অপরাধীদের ক্ষমা চাওয়ার মৌলিক অধিকার আছে কিনা। এই অধিকার ব্যক্তি বিশেষে দেওয়া উচিত নয়। এর আগে, এক অভিযুক্তের অ্যাডভোকেট সিদ্ধার্থ লুথরা বলেছিলেন, সাজা মুকুবের আদেশ দেওয়া হয় দোষী ব্যক্তিকে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর জন্য।