রাজ্যসভা থেকে আচমকা ইস্তফা দিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। রাজ্য়সভার সচিবালয় থেকে সোমবার নাড্ডার ইস্তফার খবর জানানো হয়েছে। হিমাচলপ্রদেশে রাজ্যসভা আসন থেকে পদত্যাগ করেছেন নাড্ডা। কয়েক দিন আগেই গুজরাট থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে রাজ্যসভার সদস্য হন বিজেপি সভাপতি। চলতি বছরের এপ্রিলে নাড্ডার সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
হঠাৎ রাজ্যসভা থেকে কেন নাড্ডা ইস্তফা দিলেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। নাড্ডার ইস্তফার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। লোকসভার লড়াইয়ে প্রার্থীতালিকায় আরও চমক থাকতে পারে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যসভা থেকে নাড্ডার ইস্তফা আলাদা নজর কেড়েছে। তা হলে কি লোকসভা ভোটে এবার লড়াই করবেন নাড্ডা? এই জল্পনাই দানা বেঁধেছে।
বস্তুত, ২০১২ সাল থেকে হিমাচলের বাসিন্দা নাড্ডা রাজ্যসভার সাংসদ। হিমাচলে তাঁর জায়গায় প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপির হর্ষ মহাজন। এবছর গুজরাট থেকে রাজ্যসভার প্রার্থী হয়েছিলেন নাড্ডা। গত ২০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন নাড্ডা। জয়ের কয়েক দিনের মধ্যে সাংসদ পতে নাড্ডার ইস্তফায় তাই জল্পনা জোরালো হয়েছে।
অন্য দিকে, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সভাপতি পদে নাড্ডার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে থাকবেন নাড্ডা। লোকসভা ভোট তাই নাড্ডার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের বৈতরণী পার করতে নাড্ডার উপরই ভরসা রেখেছেন মোদী-শাহরা। চব্বিশের ভোটযুদ্ধে জিতে তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে মরিয়া মোদী। ৪০০ আসনে জেতার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে এনডিএ শিবির। ইতিমধ্যেই ভোটের প্রচার শুরু করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি মাসের শুরুতেই পশ্চিমঙ্গে পর পর দু'দিন সভা করেছেন মোদী। বাংলার ৪২ আসনেই পদ্ম ফুল ফোটানোর টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম প্রার্থীতালিকাও প্রকাশ করেছে বিজেপি। এই আবহে রাজ্যসভা থেকে নাড্ডার আচমকা ইস্তফা এই পর্বে আলাদা মাত্রা যোগ করল।