এখনও অশান্ত বাংলাদেশ। সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগের রায় দিয়েছে। তারপরেও ওপার বাংলায় সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন থিতু হয়নি। এই আবহে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হল ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফকে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভারত-বাংলাদেশের সব সীমান্তে 'অপারেশন অ্যালার্ট' জারি করেছেন ইস্টার্ন কমান্ডের এডিজি বিএসএফ (হেডকোয়ার্টার স্পেশাল ডিজি) রবি গান্ধী।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি সর্বদা নজরে রাখা হচ্ছে। জওয়ানদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরানোর কাজেও সাহায্য করছে বিএসএফ।
বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ, পাচারের ঘটনা ঘটে। এই ব্যাপারে বিশেষ ভাবে সতর্ক হয়েছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, গত ৬ মাসে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৯৮৩ জন বাংলাদেশি এবং ৪৮ জন রোহিঙ্গাকে ধরা হয়েছে।
অন্য দিকে, বাংলাদেশে এখনও আন্দোলন অব্যাহত। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বিবিসি বাংলা সূত্রে মঙ্গলবার জানা গিয়েছে, রাতের মধ্যেই সে দেশে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ব্রডব্যান্ট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে। তবে ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যাবে না।
অশান্তির জেরে বাংলাদেশে কার্ফু জারি করেছে শেখ হাসিনার সরকার। জানা গিয়েছে, কার্ফুর মেয়াদ আরও ২ দিন বাড়ানো হয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবারও কার্ফু জারি থাকবে।
বাংলাদেশের ঘটনা সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বর্ণনা করেছে নয়া দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশে বসবাসকারী ১৫ হাজার ভারতীয় নিরাপদে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৮ হাজার ৫০০ জন পড়ুয়া। গোটা পরিস্থিতির দিকে বিদেশ মন্ত্রক সর্বদা নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শনিবার বাংলাদেশ থেকে ৯৭৮ জন পড়ুয়াকে ভারতে ফেরানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্র-যুবদের আন্দোলন ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। ওপার বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ ঘটছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা শতাধিক। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।