নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন সারা দেশের কৃষকরা। উদ্দেশ্য দিল্লি ঘেরাও। প্রতিবাদকারী কৃষকদের ঠেকাতে দিল্লির বুরারি মাঠে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কৃষকরা তা মানতে নারাজ। শনিবার কৃষকদের দাবিগুলি নিয়ে ৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে আলোচনার জন্য তার আমন্ত্রণটির পুনর্বার বিবেচনার কথা বলেছেন তিনি।
রবিবার ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের তরফে সুরজিৎ এস ফুল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে বুরারি পার্কে যাব না। কারণ সেটা একটি উন্মুক্ত কারাগার। দিল্লি পুলিশ উত্তরাখণ্ড কৃষক সমিতির সভাপতিকে বলেছিল যে তারা যন্তর মন্তরে নিয়ে যাবে কিন্তু তার পরিবর্তে তাদের বুরারি পার্কে আটকে রেখেছিল," রবিবার একথা জানিয়েছেন পাঞ্জাব ইউনিটের সভাপতি সুরজিৎ এস ফুল।
ফুল আরও বলেন, "বুরারিতে কারাগারে থাকার পরিবর্তে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে দিল্লিতে পাঁচটি প্রধান প্রবেশপথ আটকে দিয়ে আমরা দিল্লি ঘেরাও করব। আমরা আমাদের সঙ্গে চার মাসের রেশন এনেছি, তাই চিন্তার কিছু নেই। আমাদের অপারেশন কমিটি বাকি সব সিদ্ধান্ত নেবে "।
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের হরিয়ানা শাখার সভাপতি, গুরম সিং চাদোনি একদিন আগে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, "আমরা তাদের (কেন্দ্রীয় সরকারের) প্রস্তাবের শর্ত মানি না। আমরা কথা বলতে প্রস্তুত রয়েছি তবে এখন কোনও শর্ত মানব না।"
রবিবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেছেন, "সরকার চতুর্থবারের জন্য ৩ ডিসেম্বর বৈঠকের প্রস্তাব করেছে। সুতরাং ইতিমধ্যে আলোচনা চলছে, কারও মনে করা উচিত নয় যে সরকার এর জন্য প্রস্তুত নয়। সরকার আলোচনার জন্য উন্মুক্ত। তবে কৃষক ইউনিয়নগুলির উচিত তার জন্য সুস্থ পরিবেশ তৈরি করা। তাদের উচিত আন্দোলন ছেড়ে আলোচনা পথে পা বাড়ানো।"