দেশে করোনা টিকা বণ্টনের ক্ষেত্রে বয়সসীমার কমানোর দাবি জোরালো হচ্ছে। এবার এই বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, বেশ কিছু ৬০ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে অনেককেই টিকা দেওয়া হচ্ছে। আবার একইসঙ্গে ১৬ থেকে ৬৪ বয়সের মধ্যেও টিকাকরণ হচ্ছে। স্বাস্থ্য সচিব জানান, ভারতের ক্ষেত্রে যাদের ঝুঁকি বেশি তাদের প্রথমে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
কী বলছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিক
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, মূলত দুটি কথা মাথায় রেখে ভ্যাকসিন বণ্টন করা হচ্ছে। প্রথমটি মৃত্যু সংস্থা কমানো ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সুরক্ষিত করা। যাদের প্রয়োজন তাদরেই টিকা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে মহারাষ্ট্র সবার উপরে। কিন্তু মৃত্যু সংখ্যার নিরিখে কেন্দ্রকে ভাবাচ্ছে পঞ্জাব ও ছত্তিশগড়। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪৬৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ছত্তিশগড় অনেক ছোট রাজ্য। জনসংখ্যাও অনেক কম। কিন্তু তার পরেই এখানে অনেক করোনাায় মৃত্যু সংখ্যা আসছে। ৩ শতাংশ মৃত্যু ছত্তিশগড়েই হচ্ছে। ওই রাজ্যগুলিতে আরও করোনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের ৫৮ শতাংশই মহারাষ্ট্রের। মোট মৃত্যুর ৩৪ শতাংশই মহারাষ্ট্রের।
আরও পড়ুন, করোনায় আক্রান্ত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের উইকেট কিপিং পরামর্শদাতা কিরণ মোরে
মহারাষ্ট্রে বাড়়ছে সংক্রমণ
এদিন শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্য ৯৬ হাজার। বলা যায় প্রায় ১ লাখের কাছাকাছি। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করেছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। প্রবল হারে সংক্রমণ সংখ্যা বেড়েছে মহারাষ্ট্রে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রাজ্যেও বাড়ছে সংক্রমণ সংখ্যা। বাংলাতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় কোভিডের টিকার বয়সসীমা আরও কমানোর বিষয়ে অনেকে আবেদন করেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব এখন কার্যত কেন্দ্রের অবস্থানই স্পষ্ট করে দিলেন। করোনার জেরে ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে কড়া নিয়ম চালু হয়েছে। বেশ কিছু শহরে চালু হয়েছে নাইট কার্ফু। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়ার মানা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ৪ সপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ।