Jharkhand CM Champai Soren: রাজভবনে শপথ গ্রহণ করেলেন চম্পাই সোরেন। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন চম্পাই সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী পদের শপথবাক্য পড়ান। নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান রাজ্যপাল। চম্পাই সোরেন প্রথম ১৯৯১ সালে সেরাকেলা থেকে উপনির্বাচনে জিতেছিলেন। তিনি সাতবারের বিধায়ক।
তাঁর মন্ত্রিসভায় কংগ্রেস কোটা থেকে আলমগীর আলম এবং আরজেডি কোটার সত্যানন্দ ভোক্তা মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন সবাইকে পদ ও গোপনীয়তার শপথবাক্য পাঠ করান। তবে নতুন সরকারকে ১০ দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী চম্পাইয়ের কাছে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তা প্রমাণ করতে হবে। রাজ্যপালের দেওয়া ১০ দিন সময়ে বিধায়ক ঘোড়া কেনাবেচা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা যদি হয় তবে ভেঙে যেতে পারে জেএমএম সরকার।
রাঁচিতে শাসক জোটের ৩৫ জন বিধায়ক হায়দরাবাদ যাচ্ছেন। তবে কিছু বিধায়ক হায়দরাবাদ যাচ্ছেন না। কারণ, তাঁরা রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়া ন্যায় আজ ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করছে। দলের কয়েকজন বিধায়ক এই যাত্রায় অংশ নেবেন। চম্পাই সোরেন নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থনের একটি চিঠি জমা দিয়েছিলেন। এতে স্বয়ং চম্পাই সোরেন, ক্যাবিনেট মন্ত্রী আলমগীর আলম ও সত্যানন্দ ভোক্তার নামও রয়েছে। এই তিন নেতাও রাঁচিতে থাকবেন। শাসক জোটে জেএমএমের ২৯ জন বিধায়ক রয়েছে। কংগ্রেসের ১৭ জন বিধায়ক, আরজেডি এবং বামেদের প্রত্যেকে একজন করে বিধায়ক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত আর্থিক তছরূপের মামলায় ইডি হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করার পর শুরু হয়। হেমন্ত প্রথমে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। হেমন্ত ইডি হেফাজতে যাওয়ার পরে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এবং জোটের সাথে জড়িত দলগুলি চম্পাই সোরেনকে আইনসভা দলের নেতা নির্বাচিত করেছিল। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছেন হেমন্ত সোরেন।