Chandrayaan-3: চাঁদে মিলেছে অক্সিজেন। চন্দ্রযান-৩ এর প্রজ্ঞান রোভার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অক্সিজেনের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। পেলোড অর্থাৎ লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপি (LIBS) এই কাজটি করেছে। এটি ছিল চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযান-৩ এর প্রথম ইন-সিটু পরীক্ষা। এ ছাড়া হাইড্রোজেন এখনও আবিষ্কৃত হচ্ছে। অক্সিজেনের পর যদি হাইড্রোজেনও পাওয়া যায়, তাহলে চাঁদে জল থাকার সম্ভাবনা বাড়বে।
এ ছাড়া চাঁদে যেসব খনিজ বা রাসায়নিক পদার্থ আবিষ্কৃত হয়েছে সেগুলি হল- সালফার, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং সিলিকন অর্থাৎ এসব জিনিসের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে, কিন্তু চাঁদের পৃষ্ঠে এ সবই রয়েছে।
প্রজ্ঞান রোভারে দুটি পেলোড আছে, তারা কী করবে?
১. লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (LIBS)। এটি ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, টিন এবং আয়রন আছে কিনা পরীক্ষা করছে। ল্যান্ডিং সাইটের চারপাশে চন্দ্র পৃষ্ঠে আবিষ্কৃত হবে।
২. আলফা কণা এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (আলফা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার - APXS)। এটি চন্দ্র পৃষ্ঠে উপস্থিত রাসায়নিকের পরিমাণ এবং গুণমান অধ্যয়ন করবে। খনিজের সন্ধানও করবে।
এর আগে চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা মাপা হয়
বিক্রম ল্যান্ডার একটি বিশেষ ধরনের থার্মোমিটার দিয়ে, চাঁদের পৃষ্ঠের উপরে এবং পৃষ্ঠের ১০ সেন্টিমিটার নীচে অর্থাৎ প্রায় ৪ ইঞ্চি নীচে তাপমাত্রার মধ্যে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। এটি ল্যান্ডারের সাথে সংযুক্ত ChaSTE পেলোড দ্বারা করা হয়েছিল। এই যন্ত্রটি ১০ সেন্টিমিটারের মধ্যে অর্থাৎ প্রায় চার ইঞ্চি পর্যন্ত তাপকে স্পর্শ না করে, পৃষ্ঠে না পড়ে, পৃষ্ঠ খনন না করে তাপ সনাক্ত করে।
বিক্রম ল্যান্ডারের চারটি পেলোড কী করবে?
১. রম্ভা (RAMBHA)... এটি চাঁদের পৃষ্ঠে সূর্য থেকে আসা প্লাজমা কণার ঘনত্ব, পরিমাণ এবং পরিবর্তনগুলি তদন্ত করবে।
২. ChaSTE... এটি চন্দ্র পৃষ্ঠের তাপ অর্থাৎ তাপমাত্রা পরীক্ষা করবে।
৩. ILSA... এটি ল্যান্ডিং সাইটের চারপাশে ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপ তদন্ত করবে।
৪. Laser Retroreflector Array (LRA)... এটি চাঁদের গতিশীলতা বোঝার চেষ্টা করবে।