বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রাক ভোট সমীক্ষায় বিহারে এগিয়ে রয়েছে জেডি(ইউ)-বিজেপি জোট। ফলে ফের একবার বিহারের মসনদে নীতীশ কুমারের ফিরে আসার সমূহ সম্ভাবনা। তবে এতে একেবারেই নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকতে রাজি নয় এনডিএ শিবির। নীতীশ কুমারের হয়ে ভোট প্রচারে স্বয়ং ময়দানে নামছেন প্রধানমন্ত্রী। পিছিয়ে নেই গোবলয়ের আরেক রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। মঙ্গলবার থেকে বিহারে ভোট প্রচার শুরু করেছেন যোগী। ৩ দিনে ১৮টি সমাবেশ করবেন আদিত্যনাথ। এদিন কাইমুর জেলা থেকে ভোটপ্রচার শুরু করেন যোগী। আর সেখানেও সুচারু ভাবে মোদী তুলে ধরলেন রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ।
বিহারের জনতাকে কথা দিয়েছিলাম রাম মন্দির তৈরি হবে। সেই কথা ভারতীয় জনতা পার্টি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। মন্দির তুলতে প্রতিবন্ধক হয়েছিল আরজেডি, কংগ্রেস ও বামেরা। এভাবেই মহাগঠবন্ধনকে নিশানা করেন যোগী। মঙ্গলবার জনসভা থেকে এমন সুর তুলতেই দেখা যায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে। আর এখানেই আরও একটি অবাক করা প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা যায় যোগীকে। তিনি বলেন, 'আপনারা যদি বিজেপি প্রার্থীকে বিধায়ক করেন, তাহলে তিনিই আপনাদের রাম মন্দির দর্শন করতে নিয়ে যাবেন।'
তবে বিহারে বিজেপি জয় সুনিশ্চিত করতে কেবল রাম মন্দিরই নয় পাকিস্তান প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন আদিত্যনাথ। যোগী বলেন, ‘আমরা দেশবাসীর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, কাশ্মীরের অভ্যন্তরে পাকিস্তানী সন্ত্রাসীদের শেষ করব। এমনকি পাকিস্তানে ঢুকেও জঙ্গিদের মেরেছি।'
পাকিস্তান প্রসঙ্গেই নাম না করেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকেও কটাক্ষ করেছেন যোগী। বলেছেন, ‘আমি শুনেছি একজন কংগ্রেস নেতা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে ভারতকে কোণঠাসা করেছেন। তাই আমি জানতে চাইছি, পাকিস্তান কি আমাদের শুভাকাঙ্খী! যে কংগ্রেস নেতা তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বললেন’। যোগী এদিন কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের সুফলের কথাও বলেন।