মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সংঘাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই নিশানা করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবকিছুই ব্যক্তিগত স্তরে নেন।' তাঁর আরও কটাক্ষ, 'ক্ষমতায় আসার পর থকে সব কিছুই ব্যক্তিগত স্তরে নিয়ে ফেলেন নরেন্দ্র মোদী।'
সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপ সফরে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ছবি নিয়ে মোদীকে আক্রমণ করেন মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী এবং বেশ কয়েক জন রাজনীতিক। মোদী প্রসঙ্গে তাঁদের সেই মন্তব্য ঘিরে যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। পরে ওই তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করে মালদ্বীপ সরকারের তরফে জানানো হয় যে, মন্ত্রীদের বক্তব্য সরকারি অবস্থান নয়। কিন্তু তাতে বিতর্ক থামেনি।
মোদীকে আক্রমণ করে মালদ্বীপের মন্ত্রীদের সমাজমাধ্যমে পোস্ট ঘিরে দু'দেশের সম্পর্কে চাপানউতর শুরু হয়েছে। মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দিয়েছেন ভারতীয়দের একাংশ। শামিল হয়েছেন বলিউডের একাধিক তারকা। মালদ্বীপের পরিবর্তে লাক্ষাদ্বীপকে পর্যটকদের গন্তব্যস্থল হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে। ভারতের জনপ্রিয় ভ্রমণ সংস্থাগুলি মালদ্বীপ যাওয়ার সমস্ত বিমানের বুকিং বাতিল করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বস্তুত, পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় জায়গা মালদ্বীপ। বিশেষত, ভারতীয়দের কাছে মালদ্বীপ বরাবরই ছুটি কাটানোর পছন্দের জায়গা।
এই নিয়ে বিতর্কের আবহে এ বার মোদীকেই নিশানা করলেন খাড়গে। ভারত-মলদ্বীপ বিতর্ক প্রসঙ্গে খাড়গে আরও বলেছেন, 'আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত। আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের বদলাতে পারব না।'
অন্য দিকে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আধিপত্যের মোকাবিলায় প্রথম থেকেই তৎপর মোদী সরকার। কিন্তু বর্তমানে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু 'চিন ঘনিষ্ঠ'। মালদ্বীপের সঙ্গে তাই সংঘাত এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করেছে। সোমবার দিল্লিতে নিযুক্ত মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে ভারতের অসন্তোষের কথা জানানো হয়েছে।