জম্মু ও কাশ্মীরে ওমর আবদুল্লাহ মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণের আগেই 'রণে ভঙ্গ' কংগ্রেসের! রাহুল গান্ধীর দল ঘোষণা করেছে, এই সরকারে তারা শামিল হবে কিনা তা আলোচনার পর স্থির হবে। বাইরে থেকেও সমর্থন দেওয়া হতে পারে নতু সরকারকে। আর তাতেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের রং যেন খানিকটা ফিকে হয়ে গিয়েছে। বলে রাখি, এই অনুষ্ঠান যোগদান করেছেন ইন্ডিয়া মঞ্চের একাধিক শরিক দলের নেতারা।
জম্মু-কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের পর প্রথম নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছে এনসি ও কংগ্রেসের জোট। শোনা যাচ্ছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি তারিক হামিদ কাররা মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তবে কংগ্রেস স্পষ্ট করে দিয়েছে, তাদের দলের তরফে কোনও বিধায়ক মন্ত্রিত্বের শপথ নেবেন। ন্যাশনাল কনফারেন্স সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থনের কথাও ভাবছে তারা।
জম্মু ও কাশ্মীরের কংগ্রেস ইনচার্জ ভারত সিং সোলাঙ্কি জানান,ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেসের মধ্যে আলোচনা চলছে। আলোচনা শেষ হলেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। বিষয়টির সমাধানসূত্র না মেলায় কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক আজ শপথ নেবেন না। কংগ্রেস সরকারের অংশ থাকবে নাকি বাইরে থেকে সমর্থন দেবে তা নিয়েও কথা চলছে।
কংগ্রেসের এই ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস একসঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। সেই হিসেবে কংগ্রেসের এই সরকারের একটি অংশ হওয়ার কথা। কিন্তু আজ শপথগ্রহণের আগে কংগ্রেসের ঘোষণায় জোটের জটের ইঙ্গিত স্পষ্ট। কারণ কংগ্রেসের কোনও বিধায়কের মন্ত্রী হিসেবে শপথ না নেওয়ার অর্থ হল, মন্ত্রিসভায় মন্ত্রক ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত হয়নি। কংগ্রেস তাই বাইরে থেকে সমর্থন দিতে পারে।
১০ বছর পর জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভার ভোটগ্রহণ হয়েছে। এই ভোটে এনসি-কংগ্রেস জোট পেয়েছে ৪৮টি আসন। ৯০টি আসনের জম্মু-কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স জিতেছে ৪২টি। কংগ্রেস ঝুলিতে ৬টি। বিজেপি ২৯টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছে। মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি এবারের নির্বাচনে কার্যত মুছে গিয়েছে।