রাহুল গান্ধীর (Rahul Gnadhi) নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) গোটা দেশ পরিক্রমা করছে। এটি এদিন জম্মু কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) যাত্রা করছিল। এই সময়ে কাশ্মীরের বানিহালে (Banihal) তা আটকে দেওয়া হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ যে যাত্রায় সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছিল না। এই কারণে যাত্রা থামাতে হয়। কংগ্রেসের দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সুরক্ষা দেওয়া হবে না এই যাত্রা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ঝুঁকির কাজ হয়ে যাবে। বিপদের আশঙ্কা থাকতে পারে।
কী বলছেন রাহুল গান্ধী?
রাহুল গান্ধী জানিয়ে দিয়েছেন যে, "যাত্রার সময় পুলিশি ব্যবস্থা পুরোভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং সামলানোর জন্য কোথাও পুলিশের টিকিটিও দেখা পাওয়া যায়নি। যাত্রায় আমার সামনে চলতে থাকা আমার সুরক্ষা কর্মীরা, অসুবিধার মুখে পড়েন। এ কারণে আমাকে নিজের যাত্রা এখানে আটকে দিতে হয়। তিনি জানান যে, আমার লোকেরা আমাকে যাত্রা না করার পরামর্শ দেন। এ কারণে আমি যাত্রা থেকে বেরিয়ে যাই এবং অন্য যাত্রা সম্পন্ন করেন। যতক্ষণ পর্যন্ত সুরক্ষা পাওয়া যাবে না। এই যাত্রা আমরা করবো না।"
এর আগে কংগ্রেসের মহাসচিব কে সি বেনুগোপাল (Congress Secretary K C benugopal) জানিয়েছিলেন যে, "ভারত জোড়ো যাত্রায় সুরক্ষাতে আমাদের সুরক্ষা দেওয়া হয়নি। এ কারণে আমরা রাহুল গান্ধীকে যাত্রা এগিয়ে নিয়ে না যেতে পরামর্শ দিই। তিনি জানিয়েছেন যে যদি রাহুল গান্ধী যেতেও চাইতেন, তবুও আমরা তাঁকে যাত্রা আটকাতেই বলতাম।" তিনি জানান যে সিনিয়র সুরক্ষা অফিসাররা এখানে থাকতে পারতেন, তাঁদের থাকা উচিত ছিল।
যাত্রা রাহুলের সঙ্গে শামিল ওমর আবদুল্লা
রাহুল গান্ধীর যাত্রা শুক্রবার সকাল ন'টার সময় শুরু হয়েছিল। যাত্রা রামবন থেকে অনন্তনাগ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রা বানিহালে যাওয়ার পরে সেখানে আটকে দেওয়া হয়। কংগ্রেসের দাবি যে যতক্ষণ পর্যন্ত সুরক্ষা পাওয়া যাবে না যাত্রা এগনো হবে না। এর আগে বানিহালে ন্যাশনাল কনফারেন্সের (National Conference Leader) নেতা ওমর আব্দুল্লাহ (Omor Abdullah), কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভারত জনযাত্রায় শামিল হন।
রাহুল গান্ধীকে কাশ্মীরে স্বাগত
যাত্রায় শামিল হওয়ার পর তিনি বলেন যে এই যাত্রায় তিনি এ কারণে শামিল হয়েছেন। তার কারণ, দেশের পরিস্থিতি চিন্তাজনক। তিনি বলেন, আমি কোনও ব্যক্তির জন্য নয় নয় বরং দেশের পরিস্থিতির জন্য এতে শামিল হয়েছেন। আবদুল্লাহ কেন্দ্র সরকারের উপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, দিল্লি, জম্মু কাশ্মীরের আওয়াজ শোনে না। আমাদের আওয়াজ চেপে দেওয়া হয়। তিনি বলেন যে, রাহুল গান্ধী কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের জন্ম। আমরা তাঁকে স্বাগত জানাই। এরপরে তিনি দাবি করেন যে, জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন করালে বিজেপির বুঝতে পারবে যে এখানে তারা পপুলার নয়। লোক তাদের সঙ্গে নেই। বিজেপি ভীরু এবং কাপুরুষ।