তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) গোয়ার রাজনীতিতে নিজের জায়গা করার চেষ্টা করছে, লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। ঘাসফুল শিবির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা ক্ষমতায় এলে রাজ্যের ৩.৫ লক্ষ পরিবারের মহিলাদের প্রতি মাসে অ্যাকাউন্টে সরাসরি ৫ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হবে। টিএমসি এই প্রকল্পের নাম দিয়েছে লক্ষ্মী যোজনা। গোয়ার বিরোধী দল কংগ্রেস টিএমসির এই পরিকল্পনা নিয়ে কটাক্ষ করেছে। রাজ্যের অর্থনীতি ব্যাখ্যা করে তৃণমূলনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়য়েছে কোথা থেকে তিনি এত টাকা আনবেন।
কংগ্রেস নেতা এবং দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ট্যুইট করে বলেছেন, এটি এমন একটি গণিত যার জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। রাজ্যের ৩.৫ লক্ষ মহিলাকে প্রতি মাসে ৫০০০ দেওয়ার এক মাসের খরচ হবে ১৭৫ কোটি টাকা।
হিসেব ব্যাখ্যা করে কংগ্রেস নেতা বলেন যে এর মানে হল এক বছরে এই তহবিলের জন্য ২১০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। সর্বোপরি, এটি গোয়ার মতো একটি রাজ্যের ঋণের বোঝার একটি 'ছোট' পরিমাণ, যার গত বছরের মার্চে অর্থাৎ ২০০০ সালে ২৩,৪৭৩ কোটি টাকা ঋণ বকেয়া ছিল।
Here is a math that deserves the Nobel Prize for Economics.
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) December 12, 2021
A monthly grant of Rs. 5000 to a woman in 3.5 lakh households in Goa will cost Rs. 175 crore a month.
That is Rs. 2100 crore a year.
পি চিদাম্বরম আরও বলেন, 'ঈশ্বর গোয়ার মঙ্গল করুন!' অথবা বলা উচিত গোয়াকে রক্ষা করুন।
এদিকে পি চিদম্বরমকে উত্তর দিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন,'হ্যাঁ স্যার, ৩.৫ লাখের জন্য মাসে ৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ ২ হাজার ১০০ কোটি, যা মোট বাজেটের ৬থেকে ৮ শতাংশ। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে উন্নতির ক্ষেত্রে হাতে নগদ অর্থ তুলে দেওয়া প্রয়োজন।'
Yes sir @PChidambaram_IN ₹5000 to 3.5 lakh Goan households = ₹2100 crores is 6-8% of total budget which is perfectly doable
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) December 12, 2021
Good economics in depressed post covid scenario requires putting cash in hand & liquidity into system.
প্রসঙ্গত আগামী বছর গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। বর্তমানে এখানে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস যখন সরকারে ফিরে আসার জন্য জোর দিচ্ছে, টিএমসি তার সম্প্রসারণ প্রচারের অংশ হিসাবে এখানে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা করেছে। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল যথেষ্ট আক্রমণাত্মক রাজনীতি করছে। এটাও লক্ষণীয় যে কয়েকদিন আগে টিএমসি বলেছিল যে দেশে এখন ইউপিএ বলে কিছু নেই এবং এখন বিজেপিকে প্রতিযোগিতা দেওয়ার সাহস নেই।