কেরলের কোঝিকোড়ে সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতে কন্টেনমেন্ট জোন করল কেরল সরকার। নিপা ভাইরাসের কারণে কেরলে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আর তারপরেই এই সাত গ্রামে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। সংক্রমণের বিস্তার রোধে বিধিনিষেধও জারি করা হয়েছে।
কোঝিকোড জেলায় নয় বছরের এক ছেলেসহ চারজনের মধ্যে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে। এর পরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি সতর্কতা জারি করে। আক্রান্তদের এলাকায় কিছু স্কুল ও অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জও এই বিষয়ে রাজ্য বিধানসভায় বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, নিপা ভাইরাসের এই স্ট্রেনটি বাংলাদেশের। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ ছড়ায়। মৃত্যুর হারও বেশি। তবে এটি কম সংক্রামক। অর্থাৎ খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কম।
এর আগেও অবশ্য কেরলে নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছিল। ২০১৮ এবং ২০২১ সালে সেখানে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল।
কেরলের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তির নিপা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়েছে। সংক্রামিত বাদুড়, শূকর বা অন্য মানুষের থেকে সরাসরি সংক্রমণ ছড়ায়।
পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুসারে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (NIV), পুনের টিম ইতিমধ্যেই কেরলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোঝিকোড মেডিকেল কলেজে একটি মোবাইল ল্যাব স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভাইরাসের পরীক্ষা এবং বাদুড়ের উপর একটি সমীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এক ফেসবুক পোস্টে, কোঝিকোডের জেলা কালেক্টর এ গীথা জানিয়েছেন, যে সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলি হল - আটানচেরি, মারুথনকারা, তিরুভাল্লুর, কুত্তিয়াদি, কায়ক্কোডি, ভিলিয়াপল্লি এবং কাবিলুমপাড়া।
পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত এই এলাকাগুলি কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে বিবেচিত হবে। সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে এবং সেখান থেকে বাইরে কাউকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। অনেকটা কোভিডের সময়ের মতোই ব্যাপার।
কন্টেনমেন্ট জোনে, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। জাতীয় সড়কে চলাচলকারী কোনও বাস বা যানবাহন কন্টেনমেন্ট জোনে থামতে দেওয়া হবে না।
নিপা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ
এখনও পর্যন্ত নিপা-র কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন আসেনি।