ক্রমেই ভয় ধরাচ্ছে করোনার নয়া উপপ্রজাতি JN.1। বছর শেষে দেশে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার দেশে করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা আরও বাড়ল। ৩ হাজারের গণ্ডি পার করল। পাশাপাশি, নতুন করে করোনায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা ঘিরে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে দেশে। যদিও অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, শনিবার দেশে করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৪২০। শুক্রবার এই সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ৮৮৭। বৃহস্পতিবার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৬৯।
করোনায় সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৭টি রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাট। তবে কেরলে সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি। দক্ষিণের এই রাজ্যেই প্রথম JN.1-এ আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এক বৃদ্ধার শরীরে করোনার এই নয়া উপপ্রজাতির হদিশ পাওয়া যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২ জন কেরলের বাসিন্দা। ১ জন কর্নাটকের এবং আরও ১ জন রাজস্থানের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৩২। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩২৫ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৪৪ লক্ষ ৭১ হাজার ২১২। দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৮১ শতাংশ। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ২২ জন করোনার নয়া উপপ্রজাতিতে সংক্রমিত হয়েছেন।
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এখনই মাস্ক পরা কিংবা কোভিড বিধিনিষেধ জারি করা হবে না বলেই সূত্রের খবর। সাধারণ মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে যাঁদের উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দেশে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বুধবার পর্যালোচনা বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়। সব রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির দিকে সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। গত বছরের শেষ থেকেই করোনার দাপট অনেকটা কমে গিয়েছিল এ দেশে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও করোনা আতঙ্ক অনেকটাই থিতু হয়েছে। বহু দেশেই কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পরার মতো নিয়মও শিথিল হয়েছে এ দেশে। মাস্ক ছাড়াই এখন প্রায় সকলেই বাইরে বেরোচ্ছেন। করোনাকে হারিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছেন সকলে। বছর শেষে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে।