scorecardresearch
 

Militant Attack in Manipur : মণিপুরে CRPF-এর কনভয়ে দুষ্কৃতী হামলা, শহিদ জওয়ান-জখন ৩

মণিপুরের জিরিবামে CRPF এবং রাজ্য পুলিশের উপর হামলা। তার জেরে শহিদ এক জওয়ান। ১৪ জুলাই, রবিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়।

Advertisement
Manipur Jawan Killed Manipur Jawan Killed
হাইলাইটস
  • মণিপুরের জিরিবামে CRPF এবং রাজ্য পুলিশের উপর হামলা
  • তার জেরে শহিদ এক জওয়ান

মণিপুরের জিরিবামে CRPF এবং রাজ্য পুলিশের উপর হামলা। তার জেরে শহিদ এক জওয়ান। ১৪ জুলাই, রবিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তার জেরে সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। আরও একাধিক জন জখম হয়েছেন বলে খবর। তবে কারা হামলা চালিয়েছে তা পরিষ্কার নয়। জানা যাচ্ছে, অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কতীরা অতর্কিতে হামলা চালায়। 

২০ ব্যাটালিয়ন CPPF এবং জিরিবাম জেলা পুলিশের একটি দল যৌথ অভিযান চালাচ্ছিল। তখন দুর্বৃত্তরা যৌথ অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার সময় প্রায় তিনজন পুলিশ কর্মী জখন হন।  বুলেটের আঘাতে শহিদ হন এক সিআরপিএফ কর্মী। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যৌথ নিরাপত্তা দলটি জিরিবাম জেলার মনবুং গ্রামের কাছে ১৩ জুলাই ঘটে যাওয়া গুলিবর্ষণের ঘটনা সম্পর্কিত অনুসন্ধান করতে যাচ্ছিল। জখমদের মধ্যে রয়েছেন, জিরিবাম থানার ASI-সহ ওই রাজ্যের তিন পুলিশ কর্মী। শহিদ সিআরপিএফ জওয়ানের নাম অজয় ​​কুমার ঝা (৪৩)। তিনি বিহারের বাসিন্দা।

গত কয়েকদিন ধরে তপ্ত মণিপুর। সেখানে দুই সম্প্রদায় ফের হিংসায় জড়িয়ে পড়ছে।  কুকি ও মেইতি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধে দীর্ঘদিন ধরেই কার্যত অচলাবস্থা জারি মণিপুরে। গত এপ্রিল মাসে দুই সশস্ত্র দলের মধ্যে গোলাগুলি তবে। কাংপোকপি, উখরুল এবং ইম্ফল পূর্বের ত্রিজংশন জেলায় এই হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময় কুকি সম্প্রদায়ের দুজন প্রাণ হারান। 

আরও পড়ুন

সেই সময় পুলিশ বিবৃতি জানায়, নিহতরা কাংপোকপি জেলার মাফৌদাম থানা ও বোংজাং এলাকার বাসিন্দা। তাদের নাম কামিনলাল লুফেং (২৩) কমলেংসাত লুফেং।

গত বছরের মে মাস থেকে উত্তপ্ত মণিপুর। কুকি ও মেতেই-দুই জনগোষ্ঠীর বিবাদের জেরে গোটা রাজ্যেই হিংসার আগুন ছড়িয়েছিল। বছর পার হলেও, সেই অশান্তির আগুন নেভেনি। তফসিলি উপজাতি (ST)-র মর্যাদা পাওয়ার দাবিতে মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি চলছে। সেই থেকে মণিপুরে ১৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। 

Advertisement

মণিপুরে মেইতিরা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ।  তাঁরা বেশিরভাগ ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে। সেখানে নাগা এবং কুকিরা জমসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ। তাঁরা সাধারণত পাবর্ত্য এলাকাতে থাকে। 

কয়েকদিন আগেই মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। মণিপুরের হিংসা বিধ্বস্ত জিরিবামে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন। রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মণিপুরে আসেননি। তাঁর এসে অবস্থা দেখে যাওয়া উচিত। 

Advertisement