পুজোর পরে বাংলা থেকে বহু পর্যটক পুরী যান। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে সাইক্লোন 'দানা' তাণ্ডব চালাতে পারে সেখানে। সেই আশঙ্কায় পুরী থেকে সরানো হয়েছে পর্যটকদের। পুরীর হোটেলগুলো ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে 'দানা' আছড়ে পড়তে পারে পুরী ও সাগরদ্বীপের মাঝে। তা নিয়ে সতর্ক প্রশাসন। যে পুরী এই সময় গমগম করত, সেই পুরী এখন কার্যত জনশূন্য।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ওড়িশার বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দাপাড়ায় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে সর্বোচ্চ ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। বৃহস্পতিবার ওড়িশা জুড়ে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। সেজন্য কটক, ভদ্রক, কেন্দাপাড়া-সহ নানা এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুধবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে ওড়িশায়। সেই বৃষ্টি চলবে টানা শনিবার পর্যন্ত। ওড়িশার মতো পশ্চিমবঙ্গেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মতো ওড়িশা প্রশাসনও রাজ্যের ১৪ জেলায় তিন দিন স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে ২০০-র বেশি। জেলায় জেলায় প্রচুর ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম।
মৌসম ভবনের তরফে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে বারণ করা হয়েছে। 'দানা' আছড়ে পড়ার পর ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ব্যাপক। সেজন্য এখন থেকেই তৈরি উদ্ধারকারী দল। পুরী নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক প্রশাসন। সেখানে পর্যটকরা যাতে না থাকেন সেজন্য কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে মাইকিং। সমুদ্রে নামতে বারণ করা হচ্ছে মানুষকে। সেজন্য পুলিশ প্রশাসনও সক্রিয়। অন্যদিকে সাইক্লোন আসার খবরে দাম বেড়েছে সব্জির। পশ্চিমবঙ্গের বাজারগুলিতে চড়া দামে সব্জি ও মাছ বিক্রি হচ্ছে।