সিএএ কার্যকর হতেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনের কাছে বিক্ষোভ দেখান হিন্দু ও শিখ উদ্বাস্তুরা। কেজরিওয়ালের মন্তব্যে ক্ষমার দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (সিএএ) বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বিক্ষোভকারীদের "পাকিস্তানি" বলে মন্তব্য করেন। তাদের "স্পর্ধা" নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এরপর শুক্রবার ফের মেজাজ হারাম কেজরিওয়াল। এক্স হ্যান্ডেলে মন্তব্য করে বলেন, "পাকিস্তানিদের এত স্পর্ধা? প্রথমত, তারা অবৈধভাবে আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করেছে, আমাদেরই আইন ভঙ্গ করেছে। তাদের জেলে থাকা উচিত ছিল। আমাদের দেশে প্রতিবাদ করার সাহস তাদের আছে, অশান্তি সৃষ্টি করছে? সিএএ বাস্তবায়নের পরে, পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশীরা ছড়িয়ে পড়বে। সারা দেশের জনগণকে হয়রানি করবে। বিজেপি তাদের ভোটব্যাঙ্কে পরিণত করার স্বার্থে গোটা দেশকে সমস্যায় ফেলছে।"
রোহিনী, আদর্শ নগর, সিগনেচার ব্রিজের কাছে এবং মজনু কা টিল্লায় বসবাসকারী হিন্দু ও শিখ শরণার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, কেজরিওয়ালের সিএএ এবং উদ্বাস্তুদের বিরুদ্ধে তাXর বিবৃতি প্রত্যাহার করা এবং ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বুধবার, কেজরিওয়াল অভিযোগ করেন বিজেপি আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দরিদ্র মানুষদের সিএএর মধ্যে দিয়ে তাদের বসতি স্থাপন করাতে চায় এবং নিজেদের জন্য ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি করতে চায়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, যারা পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে এসে এখানে বসতি স্থাপন করবে তাদের চাকরি এবং বাড়ি দেওয়া হবে। ফলে স্থানীয়রা যারা এত বছর ধরে দেশে বসবাস করছেন তাদের ওপর প্রভাব পড়বে।
কেন্দ্র সোমবার নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯ কার্যকর করেছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে যারা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪-র আগে ভারতে এসেছিল তাদের নাগরিকত্ব প্রদানের পথ প্রশস্ত করেছে।
কেজরিওয়াল বৃহস্পতিবার এক্স-এর অন্য একটি পোস্টে কেজরিওয়াল বলেছেন, "আজ কিছু পাকিস্তানি আমার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে এবং হট্টগোল করেছে। দিল্লি পুলিশ তাদের পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।" আরও বলেন, তাদের এত সাহস যে আমাদের দেশে প্রবেশ করে তারা দিল্লির জনগণের বিশাল ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত একজন মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলছে। বিজেপি তাদের সমর্থন করছে। আমার বিরুদ্ধে ঘৃণা তৈরির জন্য বিজেপি পাকিস্তানিদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।