দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ৬ দিনের ইডি রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। আদালতের নির্দেশ অনুসারে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ২৮ মার্চ দুপুর ২টোর মধ্যে ইডি আদালতে হাজির করবে। তারপর ইডি জানাবে এখনও পর্যন্ত তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে, আর কী করতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের ফুটেজ নিরাপদে রাখা হবে।
সিআরপিসি-র ৪১ডি ধারার অধীনে, অভিযুক্ত অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তার আইনজীবী মহম্মদ ইরশাদ এবং বিবেক জৈনের সঙ্গে ৬ থেকে ৭টা পর্যন্ত দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইডি রিমান্ড চলাকালীন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তাঁর স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল এবং ব্যক্তিগত সচিব বিভাব কুমারের সঙ্গে প্রতিদিন আধ ঘণ্টা দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কেজরিওয়ালের খারাপ স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে, আদালত ইডি-কে নির্দেশ দিয়েছে তাঁকে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করতে। যদি তারা তা করতে না পারে তবে তাদের বাড়ির খাবার খেতে দেওয়া হবে।
তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ অফিসারকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে এই সংক্রান্ত একটি আবেদন করেন। দিল্লি পুলিশের এসিপি একে সিংকে অপসারণের দাবিতে, যিনি তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছিলেন, তাঁকে আদালতে আনার সময় খারাপ আচরণ করা হয়েছিল। তথ্য অনুযায়ী, এসিপি এ কে সিং মণীশ সিসোদিয়ার সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে।
আজতককে কেজরিওয়াল বলেছেন- জেল থেকে সরকার চলবে
কেজরিওয়াল আজতককে বলেছেন, "আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেব না। জেল থেকে সরকার চালাব। ভিতরে হোক বা বাইরে, সেখান থেকেই সরকার চলবে।" তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত আমাদের সমস্যা হবে, তবে আমরা কাজ করার চেষ্টা করব। দিল্লির মানুষ এটাই চায়। কেজরিওয়ালকে তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, শরীর ভাল আছে। তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশের পর এত তাড়াতাড়ি ইডি আমাকে গ্রেফতার করতে আসবে তা ভাবিনি। ভেবেছিলেন গ্রেফতারের আগে অন্তত ২-৩ দিন অপেক্ষা করবেন। বাবা-মায়ের আশীর্বাদ নেওয়ার সুযোগও পেলাম না। ইডি আসার আগে আমি বাবা-মায়ের সঙ্গে বসেছিলাম।