সম্প্রতি নিজেদের প্রাইভেসি পলিসি পরিবর্তন করেছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp)। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। হোয়াটঅ্যাপ যে গোপনীয়তার জন্য জনপ্রিয়, তারা যে এভাবে তাদের নীতি বদলাবে তা অনেকেই ভাবেননি। গত সপ্তাহেই হোয়াটসঅ্যাপ তার ব্যবহারকারীদের এই পরিবর্তনের কথা পপ আপ মেসেজের মাধ্যমে জানায়। আর এরপরই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে।
মামলাকারী জানান, হোয়াটসঅ্যাপটি ব্যবহারকারীদের ফোনে যা যা হচ্ছে ভার্চুয়ালি সেই সব দিকেই নজর রাখছে। পিটিশনার চৈতন্য রোহিলা, নিজে নিজে একজন আইনজীবী, তিনি এই মামলা দায়ের করেছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন এই মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়ের যে আইন তা ভঙ্গ করছে। গোপনীয়তাকে সুপ্রিম কোর্ট মৌলিক অধিকার হিসেবেই দেখে।
এদিকে, হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুকের মালিকানাধীন অ্যাপ। অর্থাৎ ভার্চুয়াল নজরদারির খবর পৌঁছে যাচ্ছে ফেসবুকের কাছেও৷ দেশের শীর্ষ আদালতে যে আবেদন করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে ডেটা ভাগ করে নিচ্ছে। আরও বলা হয়েছে যে সরকারের অনুমতি না নিয়েই এই নতুন পলিসি তৈরি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনটির নীতিতে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ চেয়েছেন আইনজীবী। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতিকে সামনে রেখে পরবর্তী নির্দেশ জারি করার আবেদন করা হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে।