পূর্ব লাদাখের ডেপসাং এবং ডেমচক এলাকায় ভারত ও চিনের মধ্যে ডিসএনগেজমেন্ট বা বিচ্ছিন্নকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সেনাবাহিনীর সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে সাংবাদসংস্থা এএনআই। জানা গিয়েছে, উভয় পক্ষের টহল শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে, গ্রাউন্ড কমান্ডাররা স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভারতীয় সেনা সূত্র আরও জানিয়েছে যে আগামীকাল দীপাবলি উপলক্ষে উভয় পক্ষ মিষ্টি বিনিময় করবে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীও নিশ্চিত করেছে যে উভয় দেশ ৩১ অক্টোবর দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় করবে ডি-এস্কেলেশনের দিকে এই ইতিবাচক পদক্ষেপ চিহ্নিত করতে। ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে যাচাইকরণ প্রক্রিয়া শুরু রয়েছে টহল প্রোটোকল বজায় রাখা এবং পরিচালনা করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের আলোচনা নিয়মিতভাবে চলতে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার মধ্য়ে রয়েছে কমান্ডার-ব্রিগেডিয়ার পর্যায়ের আলোচনা।
ভারত ও চিনের স্থানীয় সামরিক কমান্ডাররা ৩০ অক্টোবর ডেপসাং এবং ডেমচকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) বৈঠক করে। বৈঠকটি এই অঞ্চলে অস্থায়ী কাঠামো এবং যানবাহন অপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করতেই এই বৈঠক হয়েছে। নিয়মিত টহলদারি পুনরায় শুরু করার পথও পরিষ্কার করবে এই বৈঠক।
ভারত গত ২১ অক্টোবর ঘোষণা করে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল দেওয়া নিয়ে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সামরিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে চিনের সঙ্গে চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। ২৪ অক্টোবর দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, সমান ও পারস্পরিক নিরাপত্তার নীতির ভিত্তিতে 'স্থল পরিস্থিতি' উন্নত করতে দুই দেশ ঐকমত হয়েছে।
পূর্ব লাদাখ সেক্টরে এলএসি-তে ভারত এবং চিনের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয় ২০২০ সাল থেকে। সেই সময় পিপলস লিবারেশন আর্মি একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন করে। সেই কারণে ২০২০ সালের ১৫-১৬ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ হয়। যাতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। চিনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল দ্বিগুণ। তবে চিনের তরফে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা সামনে আনা হয়নি। এই ঘটনার পর দুই দেশের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। তারপরই এলাকার নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখতে যেখানে যেখানে অস্থায়ী তাঁবু গড়ে তোলা হয়।