scorecardresearch
 

World Toilet Day 2022: ট্রেনে কবে থেকে টয়লেট চালু হল জানেন? ধন্যবাদ জানান এই বঙ্গ সন্তানকে

প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্ব টয়লেট দিবস (World Toilet Day 2022) পালিত হয়। বিশ্বব্যাপী স্যানিটেশন সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য এটি একটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ দিবস। ভারত-সহ বিশ্বের অনেক জায়গায় টয়লেটের (Toilet) সমস্যা রয়ে গিয়েছে। এই উপলক্ষে, আমাদের টয়লেটের পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কেও সচেতন হওয়া উচিত।

Advertisement
ট্রেনে কবে থেকে টয়লেট চালু হল ট্রেনে কবে থেকে টয়লেট চালু হল
হাইলাইটস
  • ১৮৫৩ সালে ভারতে রেল পরিষেবা চালু হয়
  • চালু হওয়ার ৫৫ বছর পর্যন্ত ট্রেনে টয়লেট ছিল না


প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্ব টয়লেট দিবস (World Toilet Day 2022) পালিত হয়। বিশ্বব্যাপী স্যানিটেশন সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য এটি একটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ দিবস। ভারত-সহ বিশ্বের অনেক জায়গায় টয়লেটের (Toilet) সমস্যা রয়ে গিয়েছে। এই উপলক্ষে, আমাদের টয়লেটের পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কেও সচেতন হওয়া উচিত। গত কয়েক বছরে দেশে কয়েক কোটি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে সরকারি সাহায্য। কেন্দ্রীয় সেই প্রকল্পের নাম 'স্বচ্ছ ভারত মিশন'। তবে এখনও একটা ক্ষেত্রে টয়লেটের (Toilet In Trains) অভাব শোনা যায়। আর সেটা হল ভারতীয় রেল। লোকাল ট্রেনে টয়লেট থাকে না। দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেস বা ওই ধরনের ট্রেনগুলিতে থাকে টয়লেট। তবে সেখানকার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বারে বারে যাত্রীরা অভিযোগ তোলেন।  আসুন জেনে নিই ভারতীয় রেলে ঠিক কবে থেকে টয়লেট চালু করা হয়েছিল।

১৮৫৩ সালে ভারতে রেল পরিষেবা চালু হয়। এই পরিষেবা চালু হওয়ার ৫৫ বছর পর্যন্ত ট্রেনগুলিতে কোনও শৌচালয়ের (Toilet) ব্যবস্থা ছিল না। তবে, এক বঙ্গ সন্তানের কারণে রেলের টয়লেট চালু করা হয়েছিল। হ্যাঁ এটাই সত্যি যে এক বাঙালির চিঠির জন্য তখন রেলে টয়লেট চালু করা হয়েছিল। তরুণ অখিল চন্দ্র সেন (Okhil Chandra Sen) শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরছিলেন। আর শ্বশুরবাড়িতে একটু বেশি কাঁঠাল খেয়ে ফেলেছিলেন। সেই কারণে ট্রেনে তাঁর পেটে গণ্ডগোল শুরু হয়। পেট চেপে তিনি প্রকৃতির ডাককে উপেক্ষা করার চেষ্টা করছিলেন।

ট্রেন মাঝপথে একটি স্টেশনে থেমেছিল। স্টেশনের নাম ছিল আহমেদপুর (Ahmedpur Station)। এই স্টেশনেই পেট খালি করতে নেমে পড়েন অখিলবাবু। কিন্তু ট্রেন কি আর তার জন্য অপেক্ষা করবে। গার্ডের বাঁশি দিতেই কোনও রকমে টয়লেট বেরিয়ে দৌড় লাগান তিনি। যদিও দৌড়াতে গিয়ে ধুতি গেল খুলে গেল তাঁর। ট্রেন তো ধরতে পারলেন না, উল্টে একহাট স্টেশনে লজ্জায় মাথা কাটা গেল তাঁর।

Advertisement

ব্যাস আর রোখে কে এই বঙ্গ সন্তানকে। গার্ডের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করে অখিলচন্দ্র সটান সাহেবগঞ্জ ডিভিশনাল রেল অফিসে (Sahibganj Divisional Railway Office) দিলেন চিঠি। সেই চিঠি আজও দিল্লির রেল মিউজিয়ামে (Railway Museum) রাখা আছে। চিঠিতে যাবতীয় অভিযোগের শেষে ছিল এক লাইন হুমকি। তিনি লিখেছিলেন, চতুর্থ শ্রেণীতে টয়লেটের ব্যবস্থা না নিলে এই বিষয়ে সব খবরের কাগজে তিনি ছেপে দেবেন । শেষে ১৯০৯-১০ সালে চতুর্থ শ্রেণীতে টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়।

কী লিখেছিলেন অখিলবাবু?

ব্যাকারণগত ভাবে কাঁচা হাতে অখিলবাবু লিখেছিলেন, 'আমি যাত্রীবাহী ট্রেনে করে আমেদপুর স্টেশনে পৌঁছেছি এবং আমার পেট কাঁঠাল দিয়ে খুব ফুলে গেছে। আমি স্টেশনে শৌচকর্ম করতে যাই। কাজ শেষ করে উঠতে যাব, তখনি গার্ড ট্রেন ছাড়ার জন্য বাঁশি বাজালেন। এক হাতে লোটা অন্য হাতে ধুতি ধরে ট্রেন ধরার জন্য ছুট লাগালাম। আমি পড়ে গেলাম। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা নারী-পুরুষরা আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল। আহমেদপুর স্টেশনেই আমাকে ছেড়ে দেওয়া হল। এটা খুব খারাপ বিষয় হয়েছে। যদি কোনও যাত্রী শৌচকর্মের জন্য যায়, তবে গার্ড পাঁচমিনিট ট্রেনটাকে দাঁড় করাতে পারল না? এই কারণেই আপনার কাছে আমার অনুরোধ জনসাধারণের স্বার্থে ওই গার্ডের জরিমানা করা হোক, না হলে এই খবরটা পেপারে দিয়ে দেব।”
 

Advertisement