২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল শোরগোল। প্রার্থীতালিকা প্রকাশের আগেই রাজনীতি থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছেন একাধিক বিজেপি নেতা। গৌতম গম্ভীর এবং জয়ন্ত সিনহা তালিকা প্রকাশের আগেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেদের দূরে রাখবেন বলে জানিয়ে দেন। এদিকে তালিকা প্রকাশের পর, ডঃ হর্ষ বর্ধনও সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছেন বলে জানালেন। X-এ একটি লম্বা পোস্ট লিখে রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্তের ঘোষণা করলেন।
এবার হর্ষবর্ধনের জায়গায় টিকিট দেওয়া হয়েছে প্রবীণ খান্ডেলওয়ালকে। হর্ষ বর্ধন বর্তমানে চাঁদনি চক লোকসভা আসনের সাংসদ। তবে কিন্তু বিজেপি তাঁকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দেয়নি। এবার চাঁদনি চক থেকে প্রবীণ খান্ডেলওয়ালকে টিকিট দিয়েছে গেরুয়া শিবির। ডঃ হর্ষ বর্ধন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। হর্ষবর্ধন পোস্টে লিখেছেন 'এবার আমার শিকড়ে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চাই।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'আমি অন্ত্যোদয় দর্শন অনুসরণ করে চলেছি। পঞ্চাশ বছর আগে, যখন আমি কানপুরের জিএসভিএম মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস-এ ভর্তি হয়েছিলাম, তখন দরিদ্র ও দরিদ্রদের সাহায্য করার ইচ্ছা, মানবজাতির সেবাই ছিল আমার মূলমন্ত্র। মনেপ্রাণে একজন স্বেচ্ছাসেবক হয়ে আমি সর্বদা চেষ্টা করেছি আর্ত মানুষের সেবা করার। আমি দীনদয়াল উপাধ্যায়ের অন্ত্যোদয় দর্শনের অনুসারী। তৎকালীন আরএসএস নেতৃত্বের অনুরোধে নির্বাচনের মাঠে নেমেছিলাম। আমার কাছে রাজনীতি মানে আমাদের তিনটি প্রধান শত্রু - দারিদ্র্য, রোগ এবং অজ্ঞতার সঙ্গে লড়াই করার সুযোগ।'
কোভিডের সময় দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার বিষয়েও তিনি গুরুদায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি লিখেছেন, 'আমার দুর্দান্ত ইনিংস কেটেছে। পুরো সময়টা আমি সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি দু'বার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছি। আমি প্রথমে ভারতকে পোলিও-মুক্ত করার বিষয়ে কাজ করার এবং তারপরে COVID-19 সংক্রমণের সময় লক্ষ লক্ষ দেশবাসীর স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার বিরল সুযোগ পেয়েছি।'
'আমি দায়িত্ব থেকে সরে আসিনি' আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। হর্ষবর্ধন লিখেছেন, 'মানবজাতির দীর্ঘ ইতিহাসে, হাতে গোনা কয়েকজনই গুরুতর বিপদের জনসাধারণকে রক্ষা করার সুযোগ পেয়েছে। আমি গর্বের সঙ্গে দাবি করতে পারি, আমি দায়িত্ব থেকে সরে আসিনি, বরং তাকে স্বাগত জানিয়েছি। ভারতমাতার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা, আমার সহ নাগরিকদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং আমাদের সংবিধানে নিহিত মূল্যবোধের প্রতি আমার শ্রদ্ধা অটুট। এর পাশাপাশি, ভগবান শ্রীরাম আমাকে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর সক্ষমতা প্রদান করেছেন। এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ।'