scorecardresearch
 

Earthquake Delhi: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি NCR, আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ

দিল্লি-NCR কেঁপে উঠল ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৫। রাত ৯.৩৪ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। জানা গেছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের গুলমার্গে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

Advertisement
ফাইল ছবি ফাইল ছবি

 দিল্লি-NCR কেঁপে উঠল ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৫। রাত ৯.৩৪ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। জানা গেছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের গুলমার্গে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্পকে মাঝারি তীব্রতার ভূমিকম্প বলে মনে করা হয়। তবে কম্পন অনুভূত হওয়ার পর মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ দেখা যায়।

জানা গেছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ। সেই কারণে জম্মু ও কাশ্মীরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। কেন্দ্রটি হিন্দুকুশে থাকায় এর কম্পন অনুভূত হয়েছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ভারতে। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরে বহুবার ভূমিকম্প হয়েছে। অন্যদিকে দিল্লি-এনসিআরও ভূমিকম্পে একাধিকবার কেঁপেছে।

জম্মু ও কাশ্মীরে এদিন ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কাটরাতেও ভূমিকম্প হয়েছে। রাত ১০টা ০৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা মাপা হয়েছে ৩.৮। তবে কম্পন ছিল খুবই মৃদু।

এর আগে ১৪ জুন বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সেদিন কিশতওয়ারে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৩,৩ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি সকাল সাড়ে আটটাতে হয়। সেই দিন ১৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনবার কম্পন অনুভূত হয়েছিল। সেদিনও ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল কাটরা।

তার আগে ৩০ এপ্রিলও ভূমিকম্প হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অনুসারে, ৩০ এপ্রিল সকাল ৫.১৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৪.১। ৩০ এপ্রিল রবিবার ভোর ৫.১৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়। এর কেন্দ্রস্থস ছিল মাটির পাঁচ কিলোমিটার গভীরে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি টুইট করে জানায়, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপা হয়েছে ৪.১ মাত্রা। দিল্লিতে প্রায়ই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হচ্ছে। এর আগে ১৩ জুন দিল্লিতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর আগে মার্চে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.৬। ভূমিকম্পের প্রভাব ছিল দিল্লি-এনসিআর, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু কাশ্মীর, হিমাচল, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সহ সমগ্র উত্তর ভারতে।

Advertisement

ভূমিকম্প কেন হয়? পৃথিবী মূলত চারটি স্তর নিয়ে গঠিত। ভিতরের কোর, বাইরের কোর, ম্যান্টেল এবং ক্রাস্ট। ভূত্বক এবং উপরের ম্যান্টেল কোরকে লিথোস্ফিয়ার বলা হয়। এই ৫০ কিলোমিটার পুরুস্তরটি টেকটোনিক প্লেট নামে কয়েকটি বিভাগে বিভক্ত। অর্থাৎ পৃথিবীর উপরের পৃষ্ঠটি ৭টি টেকটোনিক প্লেট দিয়ে তৈরি। এই প্লেটগুলি কখনই স্থিতিশীল থাকে না। এগুলি ক্রমাগত চলতে থাকে। যখন এই প্লেটগুলি একে অপরের দিকে চলে যায়, তখন সংঘর্ষ হয়। কখনও কখনও এই প্লেটগুলিও ভেঙে যায়। তাদের সংঘর্ষের কারণে প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত হয়। সেই কারণে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

 

TAGS:
Advertisement