scorecardresearch
 

ED Jurisdiction: ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতারি, মোদী জমানায় কীভাবে শক্তিশালী হল ইডি?

গ্রেফতার হওয়ার কয়েকদিন আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। যদিও অরবিন্দ কেজরিওয়াল এখনও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ফলে কেজরিওয়াল হলেন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকাকালীন গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement
ইডি-র এত ক্ষমতা কীভাবে? ইডি-র এত ক্ষমতা কীভাবে?
হাইলাইটস
  • গ্রেফতার হওয়ার কয়েকদিন আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন।
  • যদিও অরবিন্দ কেজরিওয়াল এখনও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

প্রথমে হেমন্ত সোরেন, তার পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল... ৫০ দিনের মধ্যে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। দু'জনকেই অর্থ তছরূপ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। হেমন্ত সোরেন ইডি হেফাজতে। ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি-র হাজতে থাকবেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।

গ্রেফতার হওয়ার কয়েকদিন আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। যদিও অরবিন্দ কেজরিওয়াল এখনও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ফলে কেজরিওয়াল হলেন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকাকালীন গ্রেফতার করা হয়েছে। রাঁচির জমি কেলেঙ্কারি মামলায় হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। আর দিল্লির আবগারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

সোরেন, কেজরিওয়াল ছাড়াও বহু প্রভাবশালী নেতা ইডির হেফাজতে আছে। গত সপ্তাহে আবগারি দুর্নীতির মামলায় তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে কে কবিতাকেও গ্রেফতার করে ইডি। তিনি ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) এমএলসি-ও। গত বছরের শুরুতে আবগারি কেলেঙ্কারিতে দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। অক্টোবরে আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

কীভাবে এত শক্তিশালী হল ইডি? 

ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট (FERA)১৯৪৭ সালে কার্যকর হয়েছিল। এর অধীনে ১ মে ১৯৫৬ সালে ইডি গঠিত হয়েছিল। আগে নাম ছিল এনফোর্সমেন্ট ইউনিট, যা পরে পরিবর্তন করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট করা হয়। প্রাথমিকভাবে ED-এর কাজ ছিল বিদেশে পরিচালিত এক্সচেঞ্জ মার্কেটে লেনদেন করা ব্যক্তিদের তদন্ত করা। পরে PMLA, FEMA, FEOA-এর মতো আইন আসে। ইডির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ২০১২ সাল পর্যন্ত ED শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রেই অর্থ তছরূপের তদন্ত করতে পারত, যেখানে ৩০ লক্ষ বা তার বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে। ২০১৩ সালে আইন সংশোধন করে ৩০ লক্ষ টাকার সীমা বিলুপ্ত করা হয়েছে।

Advertisement

মোদী জমানায় বড় পরিবর্তন  

ইউপিএ সরকারের আমলে ইডি-র তদন্তের পরিধি বাড়লেও মোদী সরকার তা আরও শক্তিশালী করেছে। ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA) সংশোধন করে। PMLA-এর ১৭ (১) এবং ১৮ ধারা সংশোধন করা হয়। যে কারও বাড়িতে তল্লাশি অভিযান এবং গ্রেফতার করার অধিকার পায় ইডি। এই আইনে একটি নতুন ধারা ৪৫ যোগ করা হয়েছে। তার ফলে ইডি ওয়ারেন্ট ছাড়াই কাউকে গ্রেফতার করার অধিকার পেয়েছে। শুধু তাই নয় ইডি কাউকে সমন পাঠালে কেন তাঁকে তলব করা হচ্ছে তা বলারও দরকার নেই। ইডি-কে এই ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছিল, যদি তারা মনে করে যে বেআইনিভাবে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে কোনও সম্পত্তি তৈরি করা হয়েছে, তবে সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ছাড়া ইডি-র সামনে দেওয়া বিবৃতি আদালতে প্রমাণ হিসাবে গ্রহণযোগ্য, যেখানে অন্যান্য ক্ষেত্রে বিবৃতিটি আইনত বৈধ হয় যখন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে রেকর্ড করা হয়।

Advertisement