একদিকে সুপ্রিম কোর্টে NEET-UG মামলার শুনানি চলছে। অন্যদিকে এই একই ইস্যু সংসদেও। সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ডাক্তারির প্রবেশিকার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সরাসরি খোঁচা দিলেন রাহুল গান্ধী। বিরোধী দলনেতা বলেন, 'মন্ত্রী(ধর্মেন্দ্র প্রধান) নিজেকে ছাড়া সবাইকে দোষারোপ করেছেন।'
রাহুল বলেন, 'সমগ্র দেশের কাছে একটি বিষয় স্পষ্ট। আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতিতে একটি খুব গুরুতর সমস্যা রয়েছে। শুধুমাত্র NEET-এই নয়, সমস্ত বড় পরীক্ষায়।' এরপরেই ধর্মেন্দ্র প্রধানের সমালোচনা করে বলেন, 'মন্ত্রী নিজেকে ছাড়া সবাইকে দোষারোপ করেছেন। আমার মনে হয়, তিনি এর মধ্যে ঠিক কী চলছে, তার মৌলিক বিষয়গুলি বোঝেন না।'
রাহুল গান্ধী সর্বভারতীয় পরীক্ষাগুলির ভরসাযোগ্যতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেন, 'লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী এটিকে জালিয়াতি বলে দৃঢ় বিশ্বাসী'।
এই বিষয়ে সংসদে আলাদা করে একদিনের আলোচনার দাবি জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
ধর্মেন্দ্র প্রধান অবশ্য রাহুল গান্ধীর অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, গত সাত বছরে পেপার ফাঁসের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধাীন। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (NTA) অধীনে ২৪০-টিরও বেশি পরীক্ষা সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে।
রাহুল গান্ধী সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, 'যেহেতু এটি NEET-এর একটি পদ্ধতিগত সমস্যা, আপনি এই সমস্যার সুরাহা করার জন্য ঠিক কী করছেন?'
রাহুলের প্রশ্নের উত্তরে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, 'শুধু চিৎকার করে মিথ্যা সত্যি হয়ে যাবে না। বিরোধী দলের নেতা যে দেশের পরীক্ষা পদ্ধতিকে আবর্জনা বলছেন, সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।'
এদিন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদবও এই ইস্যু নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'এই সরকার কাগজ ফাঁসের রেকর্ড তৈরি করবে। এমন কিছু কেন্দ্র আছে যেখানে দুই হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীই সবাই পাশ করেছে। যতদিন এই মন্ত্রী (শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান) থাকবেন, পরীক্ষার্থীরা বিচার পাবেন না।'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২১ জুুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশেও NEET-এর কথা তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'তথাকথিত SSC-টেট দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। কেউ দোষ করলে তাঁকে ধরা হোক... কিন্তু তাহলে স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি NEET কেলেঙ্কারিতে ধর্মেন্দ্র প্রধানকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন?'