Jammu & Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় শহিদ হন ৫ সেনা জওয়ান। শুক্রবার এই ঘটনার পর শনিবার সকালে ফের গুলিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। রাজৌরি সেক্টরের কান্দি বনে সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করার অভিযান চলছে। উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলার করহামা কুঞ্জর গ্রামে শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসবাদী-জওয়ানের গুলি সংঘর্ষে একজন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে খবর। এই গ্রামে দুই সন্ত্রাসবাদীর উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছিল। এর পরে তারা পুরো গ্রামটি ঘিরে ফেলে।
এনকাউন্টারের প্রসঙ্গে বারামুলার এসএসপি আমোদ অশোক নাগপুরে বলেন, 'কিছু সন্দেহজনক কার্যকলাপের খবর পাওয়া গেছে। তা আটকানোর পর তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেই সময় আমাদের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়। পাল্টা গুলিতে এক লস্কর-ই-তৈবার সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। G20 শীর্ষ সম্মেলনকে সামনে রেখে, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। G20 শীর্ষ সম্মেলন সফলভাবে হবে।'
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার গুলির লড়াই
সেনা জওয়ানরা একটি বাড়িতে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের কাছাকাছি পৌঁছলে তারা গুলি চালাতে শুরু করে। একজন জঙ্গি এনকাউন্টারে মারা যায়। গত ৪৮ ঘণ্টায় বারামুলায় এই নিয়ে দ্বিতীয় সংঘর্ষ। বৃহস্পতিবার ক্রিরি এলাকায় ২ সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়। এলাকায় আরও সন্ত্রাসবাদীদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান চলছে।
J&K| Encounter underway in Kandi forest in Rajouri
— ANI (@ANI) May 6, 2023
(Visuals deferred by unspecified time) pic.twitter.com/MEWhWKpbsA
রাজৌরিতেও এনকাউন্টার
আজ ভোর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি সেক্টরের কান্দি জঙ্গলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে এনকাউন্টার চলছে। মধ্যরাত থেকে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিলেন জওয়ানরা, তখনই সন্ত্রাসবাদীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে, তার পরেই এনকাউন্টার।
শহিদ হন ৫ সেনা
এর আগে শুক্রবারই, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে জওয়ান এবং সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে এনকাউন্টারে পাঁচ সেনা কর্মী শহিদ হন। আহত এক জওয়ান এখনও চিকিৎসাধীন। নিরাপত্তার স্বার্থে জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শহিদ হওয়া পাঁচ সেনার মধ্যে দু'জন হিমাচল প্রদেশের, একজন উত্তরাখণ্ড, জম্মু কাশ্মীর ও পশ্চিমবঙ্গের। দার্জিলিংয়ের ছেলে সিদ্ধান্ত ছেত্রি শহিদ হন। গত ১৪ এপ্রিল ছুটি কাটিয়ে এই তরুণ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। শুরু হয়েছে অপারেশন 'ত্রিনেত্র'।
৩ মে থেকে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে
গত ৩মে থেকে রাজৌরি সেক্টরের কান্দি জঙ্গলে সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতির সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে একটি যৌথ অভিযান শুরু হয়েছিল। ৫ মে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি সেনারা গুহায় সন্ত্রাসবাদীদের লুকিয়ে থাকার খবর পায়। এই গুহা খাড়া পাথরে তৈরি। সেনা সদস্যরা সেখানে পৌঁছে তাদের বের করার চেষ্টা করলে তারা বোমা বিস্ফোরণ করে।