হাথরাসকাণ্ডে নয়া মোড়। খুনের ঘটনাায় এবার তরুণীর পরিবারকেই কাঠগড়ায় তুললো অভিযুক্তেরা। এই বিষয়ে পুলিশকে চিঠিও দিয়েছে
তার। চিঠিতে ঘটনায় ধৃত ৪ অভিযুক্ত সন্দীপ, রামু, লবকুশ ও রবির বুড়ো আঙুলের ছাপ রয়েছে। চিঠিতে অভিযুক্তরা জানিয়েছে তরুণীর
ধর্ষণ ও খুনের সঙ্গে তারা যুক্ত নয়। তাদের পাল্টা অভিযোগ তরুণীর মা ও দাদাই তাঁকে খুন করেছে।
বিশদে জানাল সন্দীপ
ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সন্দীপের দাবি, ওই তরুণীর সঙ্গে তার আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল। পরিচয়ও ছিল। কিন্তু তাঁর যৌন নির্যাতন ও খুনের
সঙ্গে সে কোনওভাবেই যুক্ত নয়। ঘটনায় তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেই দাবি সন্দীপের। বরং ঘটনায় নিহতের মা ও দাদাই জড়িত বলে পাল্টা
অভিযোগ তার।
অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার পরিবারের ফোনে যোগাযোগ
এদিকে অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার পরিবারের মধ্য়ে যে ফোনে যোগাযোগ ছিল সেকথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে পুলিশও। গত ১৩ অক্টোবর ২০১৯
থেকে ২০ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত তাদের মধ্যে ফোনে মোট ১০৪ বার যোযাযোগ হয়। কলের সময়সীমা ছিল প্রায় ৫ ঘণ্টা। সন্দীপ যে নম্বরে ফোন
করত সেটি নির্যাতিতার দাদার নামে রেজিস্টার্ড বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে সন্দীপ ও নির্যাতিতা পরস্পরের বন্ধু বলে দাবি করেছে পুলিশ। যদিও
সন্দীপের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগের কথা স্বীকার করতে চাননি নির্যাততার দাদা।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েকদিন ধরেই সরগরম গোটা দেশ। ঘটনায়
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথের পদত্যাগ দাবি করেছে বিরোধীরা। প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষও। যদিও তফশিলি জাতি ও
উপজাতি আইনের অপব্যবহার করে অভিযুক্তদের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেছে অখিল ভারতীয় ক্ষত্রিয় মহাসভ।