গ্রীষ্মের দাবদাহে ত্রাহি অবস্থা থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে বহু মানুষ পাহাড় বেড়াতে যাচ্ছেন। দার্জিলিং (Darjeeling) পাহাড়ের পাশাপাশি অনেকের প্ল্যান সিকিমও (Sikkim Rain)। এহেন পরিস্থিতিতে ব্যাপক দুর্যোগ সিকিমে। যার নির্যাস, বহু পর্ষটক যেমন সিকিমে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছেন, তেমনই অনেককে সফর বাতিল করতে হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত খবর, প্রায় ২ হাজার পর্যটক আটকে রয়েছেন সিকিমে। প্রবল বৃষ্টি ও ধসে বিপর্যস্ত রাজ্যটির একটি বড় অংশ। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ, লাচুং, লাচেন, চুংথাংয়ের মতো জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তর সিকিমে
সিকিম প্রশাসন সূত্রের খবর, ১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ৫ জন এখনও নিখোঁজ। যদিও মঙ্গনের জেলাশাসক হেমকুমার ছেত্রীর দাবি, 'পাকশেপ ও অম্ভিথাং গ্রাম মিলিয়ে মোট ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে।' সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি নর্থ সিকিমে। সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করছে না। বিস্তীর্ণ অংশে বিদ্যুত্ নেই। তিস্তার জল বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে দক্ষিণ সিকিমে। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘরছাড়াদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।'
সিকিমে আটকে পড়লে পশ্চিমবঙ্গে ফেরার বিকল্প পথ কী?
সিকিমে আটকে পড়া পশ্চিমবঙ্গের পর্যটকদের ফেরা রীতিমতো চাপের হয়ে গিয়েছে। কারণ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধস পড়ে বন্ধ। সে ক্ষেত্রে কালিম্পং জেলা প্রশাসন বিকল্প রুট জানিয়েছে। ছোট গাড়ি আপাতত মানসং-১৭ মাইল-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াত করতে পারবে। তবে বড় গাড়িকে পেডং-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছতে হবে।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। আগামী ২০ জুন পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। আজ জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মালদা, দুই দিনাজপুরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।