scorecardresearch
 

CORONA: দৈনিক সংক্রমণে ২ লক্ষের হ্যাটট্রিক, মৃত্যুতে সর্বোচ্চ রেকর্ড দেশে

পশ্চিমবঙ্গে চলছে পঞ্চমদফার ভোটপর্ব। এখনও বাকি আরও তিন দফা। যা পরিস্থিতি তাতে ভোটপর্ব মিটতে মিটতে রাজ্যের করোনা চিত্র ভয়াবহ আকার নেবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এদিকে শনিবারও দেশের করোনা চিত্রের কোনও বদল ঘটলো না। বরং পরিস্থিতি আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজারের মত বেশি।

Advertisement
পরপর ৩ দিন ২ লক্ষের বেশি করোনা সংক্রমণ পরপর ৩ দিন ২ লক্ষের বেশি করোনা সংক্রমণ
হাইলাইটস
  • পরপর ৩ দিন ২ লক্ষের বেশি করোনা সংক্রমণ
  • ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি গোটা দেশের
  • এবছর সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এতটাই বেশি যে বেসামাল হয়ে পড়ছে হাসপাতালগুলি

পশ্চিমবঙ্গে চলছে পঞ্চমদফার ভোটপর্ব। এখনও বাকি আরও তিন দফা। যা পরিস্থিতি তাতে ভোটপর্ব মিটতে মিটতে রাজ্যের করোনা চিত্র ভয়াবহ আকার নেবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এদিকে শনিবারও দেশের করোনা চিত্রের কোনও বদল ঘটলো না। বরং পরিস্থিতি আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজারের মত বেশি। গত বছর করোনার খারাপ পরিস্থিতির সময়ও দৈনিক আক্রান্ত ২ লক্ষ পার করেনি। কিন্তু এবার এপ্রিলেই চিত্র বদলে গেছে। গত বৃহস্পতিবারই দৈনিক সংক্রমণ ২ লক্ষের গণ্ডি পার করেছে। শুক্রবারও সেই ধারা বজয়া ছিল। শনিবারও ২ লক্ষের ঘরেই থাকল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘটনায় দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৯২। যা বিশ্বে  একদিনে সংক্রমণে নতুন রেকর্ড।

 

দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুতেও নতুন রেকর্ড দেশের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভারতে প্রাণ কেড়েছে ১,৩৪১ জনের। যা এখনও পর্যন্ত এদেশে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর করোনা প্রাণ কেড়েছিল ১ হাজার ২৯০ জনের। ফলে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৪৯।

স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৫৪ জন। ফলে দেশে মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা এখন ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৭১ হাজার ২২০। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এখন ১৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৪০। আইসিএমআর বলছে  গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৯৭। ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৬ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭২ হাজার ২২। শুক্রবার পর্যন্ত টিকাকরণ হয়েছে ১১ কোটি ৯৯ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬৪১ জনের। 

Advertisement

 এবছর সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এতটাই বেশি যে বেসামাল হয়ে পড়ছে হাসপাতালগুলি। দেশের চিকিৎসা পরিকাঠামো যেকোনও সময় মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভ্যাকসিনের ভাণ্ডারও প্রর্যাপ্ত নেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি স্পুটনিক ভি-কে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। জরুরিকালীন ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে এই রাশিয়ান ভ্যাকসিন। 

যদি রাজ্য ভিত্তিকভাবে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা যায়, তবে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। সেখানে দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ হাজার পার করেছে। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লির অবস্থাও শোচনীয়। পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও যে হারে বেড়েছে, তা দেখে শঙ্কিত স্বাস্থ্যমহল। মৃত দেহ রাখার জন্য জায়গা নেই মর্গে। শ্মশানে ও কবরস্থানে স্তূপাকার করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ। একই অবস্থা ছত্তিসগড়েও। পাশাপাশি করোনায় বেহাল অবস্থা গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু ও কেরলেরও।   


 

Advertisement