ইলিশের পর্যাপ্ত যোগান থাকলেও দাম শুনেই মাথাখারাপ হওয়ার জোগাড় হচ্ছে অনেকের। সপ্তাহখানেক হল, শহরে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে দিঘা এবং ডায়মন্ড হারবার মোহনায় মৎস্যজীবীদের জালে টন টন ইলিশ ওঠায় কলকাতার বাজারগুলিতে শেষমেশ পর্যাপ্ত ইলিশের দেখা মিলছে। আগামী কয়েক দিন ইলিশের এই জোগান বজায় থাকবে বলেও জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। কিন্তু কলকাতার বাজারে ইলিশের দাম কার্যত আকাশছোঁয়া। যেকারণে ইলিশ কিনবেন বলে বাজারে গিয়ে দাম শুনে বাধ্য হয়ে অন্য মাছ কিনে ফিরতে হচ্ছে অনেককেই।
সকাল থেকে মানিকতলা, হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, কসবা, ভবানীপুর, আশুবাবুর বাজার-সহ শহরের একাধিক বাজারে দেখা মিলেছে পর্যাপ্ত ইলিশের। ওজনের রকমফেরে দামও প্রতিটি বাজারে ছিল কার্যত একই। এ দিন বাজারে ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের মাছের জোগান ছিল সব চেয়ে বেশি। কেজিপ্রতি ওই ওজনের ইলিশ এ দিন বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। অন্য দিকে, ৫০০ গ্রামের আশপাশের ওজনের ইলিশের দাম ছিল আরও কম। মানিকতলা বাজারে এ দিন সেই ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা কেজিতে। তবে বড় মাপের ইলিশের দাম ছিল অনেকটাই বেশি। এক কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে ক্রেতাকে প্রায় ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা খসাতে হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
মানিকতলা বাজারে অভিনব দাস বললেন, ইলিশের এখন যা দাম, তাতে ইলিশ খাওয়া ভুলে যেতে হবে। প্রায় একই বক্তব্য বালিগঞ্জের বাসিন্দা সোনালি পালের। তাঁর কথায়, 'এখন ইলিশ খেতে গেলে পকেট ফাঁকা হয়ে যাবে। ইলিশ তো আর ইএমআই-তে মিলবে না।'
ব্যবসায়ীরা যদিও সপ্তাহখানেকের মধ্যে দাম নাগালের মধ্যে আসবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন। অনেকে জানালেন, এখন সব জিনিসেরই দাম চড়া। বরফ থেকে শুরু করে মজুতের অন্যান্য জিনিসের দামও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। তাই আড়ত থেকে গত বছরের তুলনায় একটু চড়া দামেই মাছ কিনতে হচ্ছে।