Man Wears Burkha For Free Bus Ride: মহিলাদের টিকিট লাগবে না। আর সেই কারণে বোরখা পরে বাসে ওঠার ফন্জি আঁটলেন এক হিন্দু ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের দারবাদ জেলার ঘটনা এটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, বীরভদ্রায়া মঠপতি নামের ওই ব্যক্তি কর্ণাটক সরকারের 'শক্তি যোজনা'র অধীনে বিনামূল্যে বাসের টিকিট পেতেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। এর আগেও তিনি এভাবে বিনামূল্যে বাসে যাত্রা করেছেন কিনা, তা জানা যায়নি।
বীরভদ্রায়া অবশ্য বাসে চড়েননি। তার আগে বাস স্টপে একা একা বসে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়েই আশেপাশের ব্যক্তিদের তাঁকে দেখে সন্দেহ হয়। সেই সময়েই কেউ কেউ ধরে ফেলেন যে তিনি আসলে পুরুষ। এভাবে বোরখা পরে বাস স্টপে বসে আছেন। তখনই সকলে মিলে তাঁকে চেপে ধরেন। একটু পরেই পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায়। সকলেই বুঝে যান যে তিনি আসলে পুরুষ। যদিও সবার দাবি মতো 'ফ্রি বাসে'র যুক্তি তিনি অস্বীকার করেছেন। উল্টে তিনি দাবি করেন, ভিক্ষার উদ্দেশ্যেই তিনি বোরখা পরে ঘুরতেন।
ভিক্ষাই যদি করবেন, তাহলে বাস স্টপে বসে কেন?
তাঁর এই ব্যাখ্যায় যদিও চিঁড়ে ভেজেনি। কেউই তাঁর এই যুক্তি বিশ্বাস করতে চাননি। ভিক্ষাই যদি করবেন, তাহলে এভাবে বাস স্টপে বসে তিনি কী করছেন? সকলের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি ওই ব্যক্তি। অনেকেরই সন্দেহ ছিল কর্ণাটকের শক্তি যোজনার সুবিধা পেতেই এমন ফন্দি এঁটেছিলেন তিনি। সেই কারণেই মহিলা সাজেন। এমনিতে মহিলা সাজতে গেলে অনেক ঝামেলা। কিন্তু বোরখা পরে মুসলিম মহিলা সাজা অনেক বেশি সহজ। আর এভাবেই বিনামূল্যে বাসের টিকিট পাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।
সঙ্গে ছিল আধার কার্ডও
তবে মোটেও কাঁচা 'বহুরূপী' নন তিনি। রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন তিনি। সঙ্গে করে এক মহিলার আধার কার্ডের ফটোকপিও এনেছিলেন। যাতে কেউ তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে তা সঙ্গে সঙ্গে বের করে দেখাতে পারেন।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে মহিলাদের বাসে কোনও টিকিট লাগে না। সেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কংগ্রেসে পাঁচটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাসে চড়ার সুবিধা প্রদান করা। সেই স্কিমের সুবিধা নিতেই বীরভদ্রায়া নামের ওই হিন্দু ব্যক্তি বোরখা পরে বাসে চড়ার ফন্জি এঁটেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।