ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মের (হিন্দু) জনসংখ্যা ক্রমেই কমেছে। অন্যদিকে লাফ দিয়ে বেড়েছে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সমীক্ষায় এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে জনসংখ্যায় হিন্দুদের ভাগ ৭.৮% কমেছে।
ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা সঙ্কুচিত হওয়ার পাশাপাশি মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং শিখ সহ সংখ্যালঘুদের অংশ বেড়েছে। তবে জনসংখ্যায় জৈন ও পার্সিদের সংখ্যা কমেছে।
১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যার অংশ ৪৩.১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, খ্রিস্টানরা ৫.৩৮% বৃদ্ধি পেয়েছে, শিখরা ৬.৫৮% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৌদ্ধরা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারতের জনসংখ্যায় হিন্দুদের অংশ ১৯৫০ সালে ৮৪% ছিল। সেখান থেকে কমে ২০১৫ সালে ৭৮% হয়েছে। অন্যদিকে মুসলমানদের সংখ্যা একই সময়ে (৬৫ বছরে) ৯.৮৪% থেকে বেড়ে ১৪.০৯%-এ দাঁড়িয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে EAC-PM ।
এই সমীক্ষায় বিশ্বের ১৬৭ টি দেশের প্রবণতা মূল্যায়ন করা হয়েছে।
সমীক্ষার লেখক বলেছেন 'ভারতের পরিসংখ্যান বিশ্বজুড়ে যা প্রবণতা, তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ'।
'বিভিন্ন অংশে দাবির ঠিক উল্টো, তথ্যের বিশ্লেষণ বলছে, ভারতে যে সংখ্যালঘুরা কেবল সুরক্ষিত, তা-ই নয়, বরং প্রকৃতপক্ষে ভারতে তাদের উন্নতি হয়েছে,' সমীক্ষায় লেখক বিশ্লেষণ করেছেন।
পাকিস্তান, বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম বেড়েছে, কমেছে হিন্দু
ভারতের সংখ্যালঘু জনসংখ্যা বৃদ্ধির ছবিটা তার প্রতিবেশী দেশগুলির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের জনসংখ্যায় ভারতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়, হিন্দুদের অংশ হ্রাস পেয়েছে। এদিকে প্রতিবেশী দেশগুলিতে, যেখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেখানে তাদেরই ভাগ বেড়েছে।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভাগ ১৮.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরেই পাকিস্তান (৩.৭৫%) এবং আফগানিস্তান (০.২৯%)।
খবরটি ইংরাজিতে পড়তে ক্লিক করুন এখানে। তথ্য সৌজন্যে: সুশীম মুকুল, ইন্ডিয়া টুডে।