পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ইস্যুতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুকে দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার সংসদে জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল, ২০২৩-এর ওপর চলছে আলোচনা। সেসময় পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুকে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যে ওয়াকআউট করেন বেশ কিছু বিরোধী সাংসদ।
সংসদে অমিত শাহ দাবি করে বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ সংশোধনী আইন ২০২৩ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন সংশোধনী বিল ২০২৩ হল সত্তর বছর ধরে যারা অন্যায়, অপমানিত এবং উপেক্ষা করা হয়েছিল তাদের ন্যায়বিচার দেওয়ার বিল। বলেন, ৩৭দ ধারা সেখানে ৪৫ হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল, যা মোদী সরকার উপড়ে ফেলেছিল।
আরও বলেন, "পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সমস্যা পণ্ডিত নেহরুর কারণে ঘটেছে। অন্যথায়, সেই অংশটি কাশ্মীরেরই থাকত। নেহেরুজি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য দায়ী।" এ-ও বলেন, "নেহরুজি বলেছিলেন এটা তার ভুল। এটি শুধু ভুল নয়, এই দেশের এত জমি হারানো অনেক বড় সাংঘাতিক একটা ভুল ছিল।"
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, জম্মু ও কাশ্মীরে নেহেরুর দুটি "ভুল" করেছিলেন। একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং কাশ্মীর ইস্যু জাতিসঙ্ঘে তুলে ধরা।
সরাসরি কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি বলেন, "পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (Pok) সমস্যা প্রথম দেখা দেয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কারণে। গোটা কাশ্মীর আমাদের হাতে না নিয়েই যুদ্ধবিরতি জারি করা হয়েছিল, তা না হলে সেই অংশ কাশ্মীরেরই থাকত।" শাহের এই বক্তব্য নিয়ে সংসদে হট্টগোল শুরু হয়, এরপর লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা।