নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন (সিএএ) নিয়ে বিরোধীদের দিকেই রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর আক্রমণের নিশানা থেকে বাদ যাননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অমিত শাহ বলেছেন যে সিএএ নিয়ে বিরোধীরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ও তোষণের রাজনীতি করছে। পাল্টা তৃণমূলের তরফে বিজেপির বিরুদ্ধেই ধর্মের রাজনীতি করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাদের তরফে আরও বলা হয়েছে যে সীমান্ত মোতায়েন থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন বিএসএফ অনুপ্রবেশ রুখতে ব্যর্থ।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ স্পষ্টভাবে বলেছেন, 'সেদিন দূরে নয় যেদিন বিজেপি বাংলায়ও ক্ষমতায় আসবে এবং অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে। আপনি যদি এই জাতীয় রাজনীতি করেন এবং জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে তুষ্টির রাজনীতি করে অনুপ্রবেশের অনুমতি দেন এবং উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করেন, তাহলে দেশের মানুষ আপনার সঙ্গে নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্রয় নেওয়া এবং অনুপ্রবেশের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। CAA কখনই প্রত্যাহার করা হবে না। আমাদের দেশে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা আমাদের সার্বভৌম অধিকার, আমরা এতে আপস করব না।'
পাল্টা তৃণমূলের তরফে সাগরিকা ঘোষ এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, আপনি অনুপ্রবেশকারী এবং উদ্বাস্তুদের মধ্যে পার্থক্য করতে না পারার জন্য বাংলাJ সরকারকে অভিযুক্ত করছেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করার অভিযোগ করছেন। অমিত শাহ কে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করছে? ৪ বছর পর ভোটের আগে সিএএ লাগু করছেন। এই আইনকে রাষ্ট্রসংঘ বৈষম্যমূলক বলেছে। বিশৃঙ্খলা ও বিভেদ তৈরি করতেই ভোটের আগে এই আইনকে লাগু করেছেন। অমিত শাহ আপনি কি জানেন যে এনআরসি-র কারণে অসমে ১৩ লক্ষ হিন্দু নাগরিকত্ব হারিয়েছেন। বাংলার সরকারের তুলনায় কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও স্কিম চলছে না। তাই আপনারা উদ্বাস্তু, ঘৃণা ও বিভেদ তৈরি করছেন ভোটে জেতার জন্য। কতদিন আপনি এই 'ঘুসপেটিয়া' রাজনীতি চালিয়ে যাবেন? কারা ঘুসপেটিয়া মিস্টার অমিত শাহ? ধর্ম কি ঠিক করবে কে অনুপ্রবেশকারী আর কে উদ্বাস্তু? যদি ধর্ম ঠিক করে তাহলে কারা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে অমিত শাহ? আপনারা না আমরা?'