scorecardresearch
 

'এর অফিসের AM, PM গুলিয়ে যায়, PMO চালাবে কী করে!' রাহুলের দফতর নিয়ে সে দিন ক্ষুব্ধ হন প্রণব

Pranab Mukherjee and Rahul Gandhi: প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উপরে লেখা ওই বইতে দাবি করা হয়েছে, একবার রাহুল গান্ধী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে সকাল সকাল পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেই সময় মুঘল গার্ডেনে মর্নিংওয়াক করছিলেন প্রণব। মর্নিংওয়াক ও সকালের পুজো সারা পর্যন্ত কারও সঙ্গে দেখা করতেন না তিনি।

Advertisement
রাহুল গান্ধী ও প্রণব মুখোপাধ্যায় রাহুল গান্ধী ও প্রণব মুখোপাধ্যায়

প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ের একটি বই ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। শর্মিষ্ঠা তাঁর বাবা দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উপরে একটি বই লিখেছেন। বাবার কাছে শোনা নানা ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি। বইতে দাবি করা হয়েছে, ২০১৩ সালে অধ্যাদেশের প্রতিলিপি ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় প্রণব মুখোপাধ্যায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। ক্ষুব্ধ প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, গান্ধী-নেহরু পরিবার নিয়ে রাহুলের অহংকার রয়েছে। ওই ঘটনাই ২০১৪ সালে কংগ্রেসের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেয়।

প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উপরে লেখা ওই বইতে দাবি করা হয়েছে, একবার রাহুল গান্ধী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে সকাল সকাল পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেই সময় মুঘল গার্ডেনে মর্নিংওয়াক করছিলেন প্রণব। মর্নিংওয়াক ও সকালের পুজো সারা পর্যন্ত কারও সঙ্গে দেখা করতেন না তিনি। তবু রাহুলের সঙ্গে দেখা করেন। পরে জানতে পারেন, রাহুলকে সন্ধ্যায় দেখা করার অ্যাপয়েনমেন্ট দিয়েছিল রাষ্ট্রপতিভবন। রাহুল গান্ধীর দফতর AM ও PM গুলিয়ে ফেলেছিলেন। তাই ভোরবেলা চলে যান দেখা করতে। 

ক্ষুব্ধ প্রণব মুখোপাধ্যায় শর্মিষ্ঠাকে বলেছিলেন, 'এর অফিস AM ও PM গুলিয়ে ফেলে, ভবিষ্যতে PMO চালানোর আশা কী করে করব?'

আরও পড়ুন

শর্মিষ্ঠার লেখা এই বইয়ের নাম 'প্রণব, মাই ফাদার: আ ডটার রিমেম্বার্স'। শর্মিষ্ঠা সাক্ষাৎকারে প্রণবের প্রধানমন্ত্রিত্বের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বলেন, 'আমার বাবা এক বার এক সাংবাদিককে বলেছিলেন, সনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব প্রত্যাশা করেন না।' রাহুলের রাজনৈতিক ভাবনাচিন্তার বাস্তবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রণব-কন্যা।  বলেছেন, '২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাহুল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বলেছিলেন, জোট সরকারের প্রতি তাঁর কোনও আস্থা নেই।'

সাক্ষাৎকারে শর্মিষ্ঠা জানান, রাহুল গান্ধীকে নিয়ে তাঁর বাবা খুব মর্মাহত ছিলেন। আরজেডি সুপ্রিমো লালু যাদবের মতো দোষী সাব্যস্ত নেতাদের অযোগ্যতার হাত থেকে দল ও দেশকে বাঁচানোর জন্য ২০১৩ সালে তৎকালীন ইউপিএ সরকার একটি অধ্যাদেশ এনেছিল। সেটা যেভাবে দলের নেতা হয়ে রাহুল গান্ধী প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলেন, সেটা নিয়ে তাঁর বাবা বিরক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বিদেশে থাকা অবস্থায় দলের নেতা হিসাবে রাহুল একাজ কীভাবে করলেন তা নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ হন।

Advertisement

Advertisement