scorecardresearch
 

Sabarmati Express Train: স্বামী এখনও ঘুমোচ্ছেন, ভাবছেন স্ত্রী, এই ভাবেই ১৩ ঘণ্টা দেহের সঙ্গে ট্রেন সফর

স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে ১৩ ঘণ্টা ট্রেন সফর করলেন এক মহিলা। আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যাগামী সবরমতী এক্সপ্রেস ট্রেনের স্লিপার কোচে এই ঘটনা ঘটেছে। ১৩ ঘণ্টা পর ট্রেনটি ঝাঁসি স্টেশনে পৌঁছলে বগি থেকে দেহ নামানো হয়।

Advertisement
Sabarmati Express Train Sabarmati Express Train
হাইলাইটস
  • স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে ১৩ ঘণ্টা ট্রেন সফর করলেন এক মহিলা
  • আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যাগামী সবরমতী এক্সপ্রেস ট্রেনের স্লিপার কোচে এই ঘটনা ঘটেছে

স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে ১৩ ঘণ্টা ট্রেন সফর করলেন এক মহিলা। আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যাগামী সবরমতী এক্সপ্রেস ট্রেনের স্লিপার কোচে এই ঘটনা ঘটেছে। ১৩ ঘণ্টা পর ট্রেনটি ঝাঁসি স্টেশনে পৌঁছলে বগি থেকে দেহ নামানো হয়। পরে জিআরপি তদন্ত শুরু করে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি স্ত্রী, দুযই সন্তান এবং এক সঙ্গীকে নিয়ে সুরাত থেকে অযোধ্যা যাচ্ছিলেন। এই যাত্রায় ট্রেনেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরও তিনি না জাগায় আশপাশে বসে থাকা লোকজনের সন্দেহ হয়। তাঁকে ঝাঁকাতে গিয়ে দেখা যায় যে শ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে।

মৃতদেহ নিয়ে ১৩ ঘণ্টা ঘুরলেন, পাশে বসা স্ত্রী

রামকুমার তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান এবং সঙ্গী সুরেশ যাদবকে নিয়ে সবরমতী এক্সপ্রেসের স্লিপার কোচ চেপে অযোধ্যা যাচ্ছিলেন। রামকুমার ছিলেন অযোধ্যার ইনায়েত নগরে অবস্থিত মাজলাই গ্রামের বাসিন্দা। সুরাট থেকে অযোধ্যা যাওয়ার ট্রেনে বসেছিলেন তিনি। সুরেশের কথায়, যাত্রার সময় রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন রামকুমার। মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ তিনি রামকুমারকে ঘুম থেকে উঠানোর চেষ্টা করলেও তিনি ঘুম থেকে ওঠেননি। দেখা যায় তাঁর হৃদস্পন্দন থেমে গেছে।

সুরেশ জানান যে যে রামকুমারের স্ত্রী এবং সন্তানরা সঙ্গে ছিল। তাই যাত্রার সময় তিনি তাঁদের কিছু বলেননি। রামকুমারের মৃত্যু সম্পর্কে স্ত্রীর কাছে কোনও তথ্য ছিল না। রাত সাড়ে ৮টায় ট্রেনটি ঝাঁসির বীরাঙ্গনা লক্ষ্মীবাই রেল স্টেশনে পৌঁছলে জিআরপি-র সহায়তায় রামকুমারের দেহ ট্রেন থেকে নামানো হয়। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়।

কী বললেন মৃতের স্ত্রী?

মৃতের স্ত্রী প্রেমা জানান যে তিনি যখন রাত ৮টায় উঠেছিলেন, তখন রামকুমার কথা বলছিলেন না। শরীর গরম থাকাতে কিছুই বোঝা যায়নি। প্রেমার বলেন, 'আমরা তাকে জাগানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু সে কিছুই বলছিল না। এতে আমরা ভাবলাম সে ঘুমোচ্ছে, কিন্তু সে চিরতরে ঘুমিয়ে গিয়েছিল।' সুরেশ বলেন, আমরা সবরমতি থেকে আসছিলাম। রামকুমার ভাই অসুস্থ ছিলেন। সুরাটে গাড়ি চালাতেন। টাকা নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল। অনেক দেখিয়েছেন, কিন্তু সুস্থ হতে পারেননি। এজন্য আমরা তাঁকে ফৈজাবাদে নিয়ে যাচ্ছিলাম। পথে কথা বলতে বলতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি কোথায় মারা গিয়েছেন তা জানা যায়নি। হয়তো সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মৃত্যু ঘটতে পারে। ভয়ে পথে কাউকে জানায়নি।

Advertisement

Advertisement