জাপানকে ছাপিয়ে এশিয়ার তৃতীয় শক্তিশালী দেশের তকমা পেল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার লোয়ি ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ এশিয়া পাওয়ার রিপোর্ট অনুসারে, এশিয়ার শক্তি সূচকে জাপানকে ছাড়িয়ে গিয়েছে ভারত। ভারত তার ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানকে প্রতিফলিত করে এশিয়া পাওয়ার সূচকে তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে ভারতের গতিশীল বৃদ্ধি, যুব জনসংখ্যা এবং অর্থনীতি। এশিয়া পাওয়ার ইন্ডেক্স ২০২৪-র সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফলাফলগুলির মধ্যে একটি হল আঞ্চলিক শক্তি র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের ক্রমাগত বৃদ্ধি। এই র্যাঙ্কিং অর্থনৈতিক সম্পর্ক, সামরিক সক্ষমতা, সাংস্কৃতিক প্রভাব এবং রাজনৈতিক স্থিতিস্থাপকতার ওপর ভিত্তি করে কোনও দেশের শক্তিকে মূল্যায়ন করে।
ভারতের উত্থানের পিছনে মূল কারণগুলি
অর্থনৈতিক বৃদ্ধি
কোভিড মহামারী পরবর্তী সময়ে ভারত তাঁর অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বাড়িয়েই চলেছে। অর্থনৈতিক সক্ষমতায় ভারত ৪.২-পয়েন্ট বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। ভারতের বিশাল জনসংখ্যা এবং শক্তিশালী জিডিপি বৃদ্ধি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে এর অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
ভারতের ভবিষ্যত সম্পদ স্কোর ৮.২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। চিন ও জাপানের তুলনায় ভারতের যুব জনসংখ্যা বেশি। ভারত একটি তরুণ জনসংখ্যা থেকে উপকৃত হচ্ছে, যা আগামী কয়েক দশকে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির কারণ হবে। এছাড়াও এই বিরাট সংখ্যক যুব জনসংখ্যার শ্রমশক্তির কারণেও ভারত আরও এগিয়ে যাবে।
কূটনৈতিক প্রভাব
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব বৃহত্তর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ভারতের নিরপেক্ষ কৌশলগত অবস্থান নয়াদিল্লিকে এক্ষেত্রে সাহায্য করেছে। জটিল আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও তাই ভারত কোনও বাধা ছাড়া নিজের প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। ২০২৩ সালে কূটনৈতিক অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ৬ নম্বরে অবস্থানে ছিল, এটা বহুপাক্ষিক ফোরামে সক্রিয় ভাবে থাকার প্রতিফলনের কারণেই হয়েছিল। এছাড়াও, ভারতের বিশাল জনসংখ্যা এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা এটিকে যথেষ্ট শক্তিশালী করেছে। সাংস্কৃতিক প্রভাবে ভারতের স্কোরও তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী রয়ে গিয়েছে।