'বাংলাদেশের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, সরকার গোটা বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখছে,' জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বিএল ভার্মা। এদিন জম্মুতে BSF-এর আয়োজিত 'রোজগার মেলা'য় যোগ দেন তিনি। সেখানেই একথা বলেন।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নজরদারি প্রসঙ্গে বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স)-এর ভূমিকার প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। শুধু বাংলাদেশই নয়, মায়ানমার ও পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে নজরদারির জন্যও বিএসএফ-এর প্রশংসা করেন তিনি। বিএল ভার্মা বলেন, 'আমি বিএসএফ-যাঁরা আমাদের সীমান্তে পাহারা দেন, তাঁদের বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি নিজে উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নের কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সেখানে সামগ্রিক উন্নতির সাক্ষী আমি।'
'বাংলাদেশের পরিস্থিতি উদ্বেগের বিষয়'
এরপরেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বিএল ভার্মা বলেন, 'বাংলাদেশের পরিস্থিতি উদ্বেগের বিষয়। কিন্তু আমাদের সরকার এবং আমাদের বিদেশ মন্ত্রক এর উপর কড়া নজর রাখছে, ভবিষ্যতেও রাখবে।'|
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অসম, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশি জঙ্গিদের পাকড়াও করেছে পুলিশ। এরপরেই অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে। শনি-রবিবার অভিযান চালিয়ে মহারাষ্ট্রের থানে থেকে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই অবৈধভাবে ভারতে থাকছিলেন। ছিল না কোনও নথি। রাজমিস্ত্রি, ভাঙা লোহার কারবার, লেবারের কাজ করতেন।
একইভাবে এদিন ত্রিপুরার আগরতলা থেকেও ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়।
অসমে সীমান্ত পার করে অনুপ্রবেশের সময় ২২ জনকে রুখে দেওয়া হয়। তাদের ফের বাংলাদেশেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে পোস্ট করে জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা।
২০২৪-এর অগাস্টে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন চরমে ওঠে। সেই সময় থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়। অগাস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ১৭০ জনেরও বেশি অনুপ্রবেশকারীকে অসমে আটকানো হয়েছে। তাদের বাংলাদেশেই ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির সরকারি স্কুলগুলিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সন্তানদের শনাক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি নগর নিগম। সরকারি স্কুলগুলিকে অবিলম্বে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে।