নতুন বছরে জনপ্রিয় মেসেঞ্জার হোয়াটসঅ্যাপ তাঁদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে প্রাইভেসি পলিসিতে যে পরিবর্তন এনেছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে, এমনটাই জানিয়েছে ভারত। হোয়াটসঅ্যাপকে সাফ জানান হয়েছে আরোপিত শর্তাদি ভারতীয় ব্যবহারকারীরা তাঁদের পছন্দ মত বেছে নেবে।
হোয়াটসঅ্যাপের এই নয়া নীতিতে সমস্যা তৈরি হয়। যেখানে বলা হয় এই অ্যাপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ফেসবুকের সঙ্গেও শেয়ার করতে পারে। এমনিতেই হোয়াটসঅ্যাপের স্টেটাস সরাসরি ফেসবুক স্টোরিজ-এ দেওয়ার ফিচার আগেই এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। যদিও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ফেসবুক মালিকাধীন এই সংস্থার প্রস্তাবিত পরিবর্তন ভারতীয়দের না-পসন্দ এবং দেশের জন্য উদ্বেগের।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এই মর্মে হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান উইল ক্যাথকার্টকে ১৮ জানুরারি একটি ইমেলও পাঠান হয়। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানায় চিঠিতে এও লেখা হয়েছে, "প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।" জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানান হয় ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। যা নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই। বরং তাঁরা এই নীতি নিয়ে কাজ করে চলেছে।
উল্লেখ্য, ভারতের ব্যবসায়িক বাজার ধরতে ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক ফেসবুক গত বছর ভারতীয় সংস্থা রিলায়েন্সের ডিজিটাল ইউনিটে ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছিল। লক্ষ্য ছিল একটাই যাতে লক্ষ লক্ষ দোকান মালিকরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার করে। ভারতে নিজেদেরকে পেমেন্ট অ্যাপ হিসেবেও তৈরি করতে চায় হোয়াটসআপ।
এদিকে, হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিতে 'অস্বচ্ছ্তার' জন্য অনেক ব্যবহারকারী ইতিমধ্যেই টেলিগ্রাম এবং সিগন্যালের মত অ্যাপ ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছে। প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রকের চিঠিতে বলা হয়েছে, এটি "অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়" যে ফেসবুক সংস্থাগুলির সঙ্গে এই তথ্য ভাগ করে নেওয়া ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পছন্দ হয়নি।