পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর ভারত-চিন (India-China) দুই দেশের তরফেই ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া (সেনা প্রত্যাহারের কাজ) সম্পন্ন হয়েছে। ডেপসাং ও ডেমচকের মতো এলাকায় ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া শেষের পর দুই দেশের সেনা টহলদারি শুরু করেছে। সূত্র মারফত এই খবর মিলেছে।
বিগত ৪ বছর ধরে ভারত ও চিন সীমান্তে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছিল। তবে সম্প্রতি যে চুক্তি হয়েছিল তা দুই দেশের সীমান্ত নীতির পক্ষে ভালো বলে মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, ২০২০ সাল থেকে যে উত্তেজনা চলছিল তার অবসান হয়েছে ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া ও টহলদারির কারণে।
সূত্রের খবর, ডেপসাং এবং ডেমচকের পয়েন্টে টহলদারি আবার শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, টহল শুধুমাত্র দিনের বেলায় পরিচালিত হবে, রাতে টহলদারির কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি। কতটা এলালা দুই দেশ কভার করবে তাও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর সূত্রের।
সেনা সূত্রে খবর, এই ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়ার ফলে উপকৃত হবে দুই দেশই। সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর চিনা সেনাবাহিনীর হাতে দীপাবলি উপলক্ষ্যে মিষ্টি তুলে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
ভারত গত ২১ অক্টোবর ঘোষণা করে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল দেওয়া নিয়ে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সামরিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে চিনের সঙ্গে চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। ২৪ অক্টোবর দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, সমান ও পারস্পরিক নিরাপত্তার নীতির ভিত্তিতে 'স্থল পরিস্থিতি' উন্নত করতে দুই দেশ ঐকমত হয়েছে।
পূর্ব লাদাখ সেক্টরে এলএসি-তে ভারত এবং চিনের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয় ২০২০ সাল থেকে। সেই সময় পিপলস লিবারেশন আর্মি একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন করে। সেই কারণে ২০২০ সালের ১৫-১৬ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ হয়। যাতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। চিনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল দ্বিগুণ। তবে চিনের তরফে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা সামনে আনা হয়নি। এই ঘটনার পর দুই দেশের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। তারপরই এলাকার নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখতে যেখানে যেখানে অস্থায়ী তাঁবু গড়ে তোলা হয়।