আপনার স্মার্টফোনে বৃহস্পতিবার দুপুরে কোনও মেসেজ এসেছে? যদি এসে থাকে, তা নিয়ে অযথা চিন্তিত হবেন না। ভারত সরকারের টেমিকম দফতরের তরফে পাঠানো হয়েছে ওই মেসেজ। জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে সতর্কবার্তা যাতে ঠিক মতো সবার কাছে পৌঁছয়, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্যই এই ফ্ল্যাশ মেসেজ পাঠানো হয়েছে।
ওই মেসেজে ইংরেজিতে যা লেখা রয়েছে তার বাংলা করলে যা দাঁড়ায়-
“ভারত সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমিউনিকেশনের সেল ব্রডকাস্টিং সিস্টেম এই স্যাম্পেল টেস্টিং মেসেজ পাঠিয়েছে। দয়া করে মেসেজটিকে ইগনোর করুন। কারণ আপনার তরফে কিছু করার নেই। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী কর্তৃপক্ষ ভারতব্যাপী এমার্জেন্সি অ্যালার্ট সিস্টেম পরীক্ষা করতে এই মেসেজ পাঠিয়েছে। জরুরি সময়ে জনসাধারণকে নিরাপত্তা প্রদান ও সতর্কতা পাঠাতে এই মেসেজ পাঠানো হয়েছে।”
এর আগে ২০ জুলাইও এই ধরনের ফ্ল্যাশ মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। এই বিষয়ে ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমিউনিকেশনের তরফে বিবৃতিতে দিয়ে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। এমাজেন্সি অ্যালার্ট ঠিক ভাবে কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করতেই পাঠানো হয়েছে এই মেসেজ। ভূমিকম্প, সুনামি, হড়পা বান-সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মেসেজ পাঠাতে বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলের সঙ্গে এই কাজ করছে ভারত সরকার।
টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ (C-DOT) সেল ব্রডকাস্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে Jio এবং BSNL ব্যবহারকারীদের গ্রাহকদের কাছে ফ্ল্যাশ বার্তা পাঠায়। এটি প্রাপকদের জানিয়েছিল যে এটি একটি পরীক্ষা ছিল এবং তাদের শেষ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই।
C-DOT-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, রাজকুমার উপাধ্যায়, PTI কে জানিয়েছেন যে প্রযুক্তিটি বর্তমানে শুধুমাত্র একজন বিদেশী বিক্রেতার মাধ্যমে পাওয়া যায় এবং তাই, C-DOT এটি ঘরে বসেই তৈরি করছে। "সেল সম্প্রচার প্রযুক্তিটি বিকাশের অধীনে রয়েছে। এটি একটি দুর্যোগের সময় সরাসরি মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে সতর্কতা পাঠানোর জন্য NDMA দ্বারা প্রয়োগ করা হবে। এটি বর্তমানে Jio এবং BSNL নেটওয়ার্কে পরীক্ষা করা হচ্ছে," বলেছেন উপাধ্যায়৷