দাবি পূরণ করতে হবে সরকারকে। সেই দাবিতেই দেশে অশান্তি। এমনই পথ বেছে নিয়েছিল সংসদে অশান্তি সৃষ্টিকারী যুবক-মহিলারা। সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার পিছনে অভিযুক্ত 'মাস্টারমাইন্ড' ললিত ঝা ও তার সহযোগীরা এমনটাই জানিয়েছেন। দিল্লি পুলিশ আদালতে তাদের রিমান্ড আবেদনে এমনটা জানিয়েছে।
'আক্রমণের পিছনে প্রকৃত উদ্দেশ্য'
আপাতত সেই তদন্তই করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অন্য় কোনও দেশের মাধ্যমে তারা প্ররোচিত কিনা, সেটাও যাচাই করে দেশা হচ্ছে। অথবা তারা কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্য কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা নিজেই আত্মসমর্পণ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পাতিয়ালা হাউস আদালতে তাঁকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এই 'সুপরিকল্পিত হামলার' পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্তে জোর দেওয়া হচ্ছে। ২০০১ সালের সংসদ হামলার বার্ষিকীতেই এমন ঘটনাকে মোটেও হেলাফেলা করতে চাইছেন না তদন্তকারীরা।
দিল্লি পুলিশ হেফাজতের শুনানির সময় পাতিয়ালা হাউস আদালতে জানায়, সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের পিছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী ললিত ঝা জানিয়েছেন, তারা 'দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে' চেয়েছিল। কেন? কারণ এর মাধ্যমে তারা সরকারকে তাদের দাবি পূরণে বাধ্য করতে চেয়েছিল।
দিল্লি পুলিশ সম্ভবত ১৩ ডিসেম্বরের ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য সংসদের অনুমতি চাইবে। ঠিক কীভাবে কালার স্মোক নিয়ে তারা সংসদে প্রবেশ করেছিল তা দেখা হবে। সেই সঙ্গে দর্শকের গ্যালারি থেকে দুই ব্যক্তি কীভাবে লোকসভার চেম্বারে ঝাঁপ দিয়েছিলেন সেটাও জানা হবে।
ললিত ঝা জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়েছেন, দিল্লি-জয়পুর বর্ডারের কাছে তিনি নিজের ফোন ফেলে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, অন্যদেরও ফোন ফেলে দেন।