জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গল থেকে উদ্ধার এক জওয়ানের মৃতদেহ। তাঁর দেহে গুলির ক্ষত মিলেছে। সেই জওয়ানকে কিডন্যাপ করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। শহিদ জওয়ানের নাম হিলাল আহমেদ। পুলিশ সূত্রে খবর, জওয়ানকে একাধিক গুলি মারা হয়। তাঁকে ছুরিকাহত করার প্রমাণও মিলেছে।
এর আগে সেনার এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, ১৬১ নম্বর ইউনিটের এক জওয়ানকে অপহরণ করেছে আতঙ্কবাদীরা। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে চাঞ্চল্য। সতর্ক রয়েছে সেনা ও পুলিশ। সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে।
৮ তারিখের সেই তল্লাশি অভিযানের সময় প্রাথমিকভাবে দুই জওয়ানকে অপহরণের খবর মেলে। অনন্তনাগের জঙ্গল থেকে ওই দুজনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। তবে একজন সৈনিক গুলিবিদ্ধ হলেও তিনি সন্ত্রাসবাদীদের কবল থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।
এর আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শ্রীনগর-ভিত্তিক চিনার কর্পস একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানায়, গোয়েন্দাদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। ৮ অক্টোবর সারারাত সেই অভিযান চলে। তারপর থেকেই একজন জওয়ান নিখোঁজ হন।
অনন্তনাগের কোনারনাগে সেনাবাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানের সময় ২ জওয়ানকে অপহরণ করা হয়। যিনি পালিয়ে আসতে সক্ষম হন তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
অভিযানের সময়ই কিডন্যাপ করা হয় আরও এক সৈনিতকে। তাঁকে খুঁজে পেতে এলাকায় এলাকায় ব্যাপক সার্চ অপারেশন চালানো হয়। গত ৮ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট গণনার দিনে এই ঘটনা ঘটে। প্রসঙ্গত, আগস্ট মাসের শুরুতে, অনন্তনাগেই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জওয়ান শহিদ হন। সেই সময় ৩ জন জখমও হয়েছিলেন।