scorecardresearch
 

Alamgir Alam Arrested: কংগ্রেসের মন্ত্রী আলমগীর আলম গ্রেফতার, ইডি অভিযানে ৩৭ কোটি উদ্ধার

ঝাড়খণ্ড সরকারের মন্ত্রী আলমগীর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আলমগীর আলমের সেক্রেটারির বাড়ি থেকে ৩৭ কোটি টাকার বেশি নগদ উদ্ধার করা হয়েছে, এই বিষয়ে তাকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement
আলমগীর আলম। কোলাজ আলমগীর আলম। কোলাজ
হাইলাইটস
  • ঝাড়খণ্ড সরকারের মন্ত্রী আলমগীর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
  • আলমগীর আলমের সেক্রেটারির বাড়ি থেকে ৩৭ কোটি টাকার বেশি নগদ উদ্ধার করা হয়েছে, এই বিষয়ে তাকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, পরে তাঁকে গ্রেফতার করে।

ঝাড়খণ্ড সরকারের মন্ত্রী আলমগীর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আলমগীর আলমের সেক্রেটারির বাড়ি থেকে ৩৭ কোটি টাকার বেশি নগদ উদ্ধার করা হয়েছে, এই বিষয়ে তাকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবারও আলমগীর আলমকে ১০ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি।

ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগীর আলমকে আজ সকাল ১১টা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তার পরে ইডি তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। রবিবার আলমগীরকে তলব করেছিল ইডি। তাকে ১৪মে রাঁচির জোনাল অফিসে সংস্থার সামনে হাজির হতে বলা হয়েছিল। মঙ্গলবার তিনি ইডি-র সামনে হাজির হন, যখন তদন্তকারী সংস্থা তাকে ১০ ঘন্টা জেরা করে। এরপর আজ তাঁকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।

৬মে, ইডি আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের গৃহকর্মী জাহাঙ্গীর আলমের অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে ৩৭ কোটি টাকার বেশি নগদ উদ্ধার করে। অভিযানের পর আলম ও সঞ্জীব লাল দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি, ইডি রাঁচির অনেক জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই নগদ উদ্ধার করেছে। নগদ গুনতে অনেক মেশিনও আনা হয়েছিল, সবগুলোই ছিল ৫০০ টাকার নোট। এ ছাড়া জাহাঙ্গীর আলমের ফ্ল্যাট থেকে কিছু গয়নাও উদ্ধার করেছে সংস্থার কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন

আলমগীর আলম কে? আলমগীর আলম পাকুড় বিধানসভা থেকে ৪ বার কংগ্রেস বিধায়ক হয়েছেন এবং বর্তমানে রাজ্য সরকারের সংসদীয় বিষয়ক ও গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী। এর আগে, আলমগীর আলম ২০ অক্টোবর ২০০৬ থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০০৯ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড বিধানসভার স্পিকারও ছিলেন। রাজনীতির উত্তরাধিকার সূত্রে আলমগীর সরপঞ্চ নির্বাচনে জয়ী হয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ২০০০ সালে প্রথমবার বিধায়ক হন এবং তারপর থেকে ৪ বার বিধায়ক হয়েছেন। ২০০৫ সালে, আলমগীর আলম পাকুড় থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। তিনি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার আকিল আখতারকে ১৮০৬৬ ভোটে পরাজিত করেন। ২০০৯ সালে জেএমএম-এর আকিল আখতার বিধায়ক হন। কিন্তু ২০১৪ সালে হঠাৎ করে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়।

Advertisement

আলমগীর আলম, যিনি কংগ্রেসের একজন বিধায়ক ছিলেন, তখন ঝাড়খণ্ড মুক্ত মোর্চার টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং জয়ী হন। ঝাড়খণ্ডে সিএম চম্পাইয়ের সঙ্গে আলমগীর আলমের মন্ত্রিত্বের আঁচ করা যায় যে, হেমন্ত সোরেন জেলে যাওয়ার পর ঝাড়খণ্ডের নতুন চম্পাই সোরেন সরকারে ডেপুটি করা হয়েছিল তাকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য। তিনি মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের সঙ্গে শপথ নেন। তবে, চম্পাই মন্ত্রিসভায় কংগ্রেস কোটা থেকে পুরনো মুখের পুনরাবৃত্তির কারণে দলীয় নেতৃত্বের প্রতি বিধায়কদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ছিল। এই বিধায়ক হেমন্ত সোরেন দাবি করছিলেন কংগ্রেস কোটার সব মুখ বদলানোর, যারা এবার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

 

Advertisement