কেরলের ওয়ানাড জেলায় ভূমিধসে ক্রমেই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ১০৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। আরও শতাধিক লোক আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে মেপ্পাদির কাছে পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক ভূমিধস হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ প্রথমে উদ্ধারকাজ শুরু করে। পরে উদ্ধারকাজে নামে এনডিআরএফ। রাজ্য সরকারের অনুরোধে উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনাবাহিনীও।
জানা গিয়েছে, মাত্র চার ঘণ্টার ব্যবধানে ওয়ানাডে তিনটি ভূমিধস আঘাত হানে। মুন্ডক্কাই, চুরমালা, আত্তামালা এবং নুলপুঝা গ্রামগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ছালিয়ার নদীতে বহু লোকের ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন হৃদয় বিদারক বিপর্যয় বলে অভিহিত করে বলেছেন। সরকার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোকও ঘোষণা করেছে।
বিজয়ন জানিয়েছেন যে মৃতদের মধ্যে ৩৪ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ১৮ জনের দেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জেলার পোথুকাল গ্রামে চালিয়ার নদী থেকে ১৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিজয়ন জানিয়েছেন যে রাত ২টো নাগাদ প্রথমে ধস নামে। পরে ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ আবারও ধস নামে। যার ফলে শতাধিক মানুষ ধ্বংসাবশেষের নীচে আটকে পড়েন এবং অনেকে ভেসে যান। বিজয়ন জানিয়েছেন, জেলায় ৪৫টি ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে এবং ৩ হাজারের বেশি মানুষ এই ক্যাম্পগুলিতে রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দুর্ঘটনা নিয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেন্দ্র থেকে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। ভূমিধসে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। আহতরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা করে।