বুধবার সংসদের নিরাপত্তায় ত্রুটির ঘটনায় বড় ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংসদ ভবনের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত ৮ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই ৮ জনের নাম হল-রামপাল, অরবিন্দ, বীরদাস, গণেশ, অনিল, প্রদীপ, ভিমিত, নরেন্দ্র। বুধবার লোকসভার কার্যক্রম চলাকালীন দর্শক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন দুই যুবক। এক বেঞ্চ থেকে আরেক বেঞ্চে ছুটতে থাকেন ওই দুই জন। তখন একডন তাঁর জুতা থেকে কিছু হলুদ গ্যাস বের করে স্প্রে করেন। এ সময় সংসদে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এমপিরা এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন।
তবে কয়েকজন সাংসদ ওই দুই যুবককে ধরে নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে তুলে দেন। লোকসভার ভিতরে যখন দুজন লোক ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখানো একজন পুরুষ ও একজন মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুজনেই ক্যানিস্টার থেকে রঙিন গ্যাস স্প্রে করছিলেন এবং স্লোগান দিচ্ছিলেন। দুজনের নাম অমল ও নীলম।
এই ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সবাই একে অপরকে চিনতেন। সবাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একে অপরের যোগাযোগে আসেন এবং সংসদে তাণ্ডবের পরিকল্পনা করেন। সাগর, মনোরঞ্জন, অমল ও নীলমকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। অপর অভিযুক্ত বিশালকে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব অভিযুক্তরা সংসদে পৌঁছনোর আগে বিশালের বাড়িতেই ছিলেন। আরেক অভিযুক্ত ললিতকে খোঁজা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশ সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) অধীনে একটি মামলা রুজু করেছে।
সংসদের আশপাশে নিরাপত্তা বৃদ্ধি
বুধবার সংসদের নিরাপত্তায় বড় ধরনের ত্রুটির পর নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সতর্ক হয়ে গেছে। সংসদ ও আশপাশের এলাকা পরিণত হয়েছে দুর্ভেদ্য দুর্গে। এখানে প্রচুর পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এই এলাকা দিয়ে যাওয়া প্রতিটি গাড়ি এবং ব্যক্তিদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চেক করছে। শুধু তাই নয়, বুধবার লোকসভা সচিবালয় সাংসদদের নতুন ভবনে পৌঁছনোর জন্য তাঁদের 'স্মার্ট কার্ড' তৈরি রাখতে বলেছে। লোকসভা সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে যে লোকসভা এবং রাজ্যসভার লবি এবং সংসদ কমপ্লেক্সের আরও কিছু জায়গায় ফেস ডিটেকশন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। সচিবালয় বলেছে যে অনেক সদস্যের স্মার্ট কার্ড রয়েছে, যারা ভিজিটর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেননি, তাঁদের করে নিতে হবে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভিজিটর পাস তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সংসদের ভেতরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। টুপি-জুতো খুলে পরীক্ষা করা হচ্ছে।