মধ্যপ্রদেশের হরদা জেলায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। বিস্ফোরণের তীব্রতায় পুরো এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ ৫৯ জন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব ঘটনায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। আধিকারিকদের দ্রুত উদ্ধারকাজে সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন জেলা থেকে এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এছাড়াও ৫০টি অ্যাম্বুলেন্সও পৌঁছেছে হরদায়। স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
হরদা জেলার কালেক্টর জানিয়েছেন, 'আজ সকালে একটি আতসবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। উদ্ধার অভিযান চলছে। ৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। ৫৯ জন আহত হয়েছেন। আহতরা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর আহত রোগীদের ভোপাল ও ইন্দোরে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।'
#WATCH | Madhya Pradesh: People injured in the massive fire that broke out in a firecracker factory in Harda, are being shifted to a hospital for treatment. Fire tenders have reached the spot, several people are feared trapped. pic.twitter.com/rwEzdIUUJX
আরও পড়ুন
— ANI (@ANI) February 6, 2024
মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ
আজতক-কে দেওয়া বিবৃতিতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব জানিয়েছেন, আহতদের চিকিৎসার খরচ সরকার বহন করবে। এখনও পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য ভোপাল ও ইন্দোরে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচও বহন করবে সরকার। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য আমাদের সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
হারদার ঘটনার পর নর্মদাপুরম ও বেতুল জেলা থেকে এসডিআরএফ কর্মী ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। নর্মদাপুরম থেকে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স এবং ছয়টি ফায়ার ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ১৯ জন এসডিআরএফ জওয়ানকে ত্রাণ ও উদ্ধার সামগ্রীসহ হার্দায় পাঠানো হয়েছে। তাঁদের অগ্নি নির্বাপক, সার্চ লাইট, স্ট্রেইটনার, হেলমেট, শ্বাসযন্ত্রের সেট দেওয়া হয়েছে। বেতুল থেকে, ১৫ জন SDRF কর্মী পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ত্রাণ ও উদ্ধার সামগ্রীও পাঠানো হয়েছে।