scorecardresearch
 

Mahalakshmi Temple In Ratlam: এমন মন্দির ভারতে একটাই, ভক্তরা প্রসাদ হিসাবে পান সোনা-রুপো

রতলামের মহালক্ষ্মী মন্দিরে মা মহালক্ষ্মীর সঙ্গে ভগবান গণেশ এবং মা সরস্বতীও বিরাজমান। এখানে লোকেরা তাদের সম্পদ, হীরা-মুক্তা এবং সোনা-রুপোর গয়না উপহার হিসাবে দেয়।

Advertisement
রতলামের মহালক্ষ্মী মন্দির রতলামের মহালক্ষ্মী মন্দির
হাইলাইটস
  • রতলামের মহালক্ষ্মী মন্দিরে মা মহালক্ষ্মীর সঙ্গে ভগবান গণেশ এবং মা সরস্বতীও বিরাজমান
  • এখানে লোকেরা তাদের সম্পদ, হীরা-মুক্তা এবং সোনা-রুপোর গয়না উপহার হিসাবে দেয়

ভারতে অনেক দেব-দেবীর মন্দির আছে। মন্দিরে দেবতা অনুসারে প্রসাদ নিবেদন করেন ভক্তরা। কেউ কেউ প্রসাদের সঙ্গে কিছু টাকা দানবাক্সে রাখেন। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ইন্দোরের সংলগ্ন রতলামের মহালক্ষ্মী মন্দিরে ভক্তরা ফল বা অন্য কিছু প্রসাদ না দিয়ে সোনা-রূপার গয়না ও টাকার বান্ডিল নিবেদন করে থাকেন। দীপাবলির সময় এই মন্দিরে একটি দুর্দান্ত দৃশ্য দেখা যায়। ভক্তরা প্রসাদ হিসেবে টাকা ছাড়াও সোনা ও রুপোর গয়না পান। 

সম্পদ, হীরা এবং মুক্তো উপহার

রতলামের মহালক্ষ্মী মন্দিরে মা মহালক্ষ্মীর সঙ্গে ভগবান গণেশ এবং মা সরস্বতীও বিরাজমান। এখানে লোকেরা তাদের সম্পদ, হীরা-মুক্তা এবং সোনা-রুপোর গয়না উপহার হিসাবে দেয়। এই মন্দিরে, ধনতেরাস থেকেই দীপাবলির উৎসব শুরু হয় এবং পাঁচদিন ধরে দীপোৎসবের আয়োজন করা হয়। এই সময়কালে, দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে ভগবান কুবেরের দরবারও অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ বিষয় হল এই মন্দিরে যে ভক্তরা দর্শন করতে আসেন তাঁদের প্রসাদ হিসেবে টাকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া অনেকে প্রসাদ হিসেবে সোনা-রুপোও পান। এই কারণে একে কুবেরের ধনও বলা হয়।

আরও পড়ুন

জানিয়ে রাখি, ভক্তদের ছোট-বড় প্রতিটি উপহারই নাম ও ছবিসহ রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ থাকে। তারপর তালিকার ভিত্তিতে দীপাবলির পঞ্চম দিনে ভক্তদের কাছে প্রসাদ হিসেবে সোনাদানা ফেরত দেওয়া হয়। এখান থেকে ফেরত পাওয়া টাকা ও গয়না বিক্রি হয় না বলে মনে করা হয়। বরং সেগুলি বাড়িতেই রেখে দেন ভক্তরা। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যার অর্থ মহালক্ষ্মীর রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়, তাঁর বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি আসে।

কীভাবে এই প্রথা শুরু হল ?

মহালক্ষ্মীর এই মন্দিরটি রাজকীয় আমল থেকেই প্রতিষ্ঠিত। রতলাম শহরটি মহারাজা রতন সিং রাঠোর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মাতার দরবার সাজানোর জন্য তিনি ধনতেরাসের দিন রাজকোষ থেকে সোনা-রুপোর গয়না নিবেদন করতেন। তারপর থেকে এটি একটি ঐতিহ্য হয়ে ওঠে। যেখানে লোকেরা মন্দিরে সাজসজ্জার জন্য তাঁদের সম্পদ নিবেদন করেন।

Advertisement

Advertisement