মহারাষ্ট্রের বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে শিবসেনার (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) প্রথম প্রতিক্রিয়ায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত নির্বাচনের ফলাফলকে সন্দেহের চোখে দেখে বলেছেন, "এটি জনগণের সিদ্ধান্ত নয়, কিছু ভুল হয়েছে।" তিনি দাবি করেন, মহাযুতি প্রশাসনিক ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এমন একটি ফলাফল চাপিয়ে দিয়েছে যা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
"মহারাষ্ট্রের মানুষ অসৎ নয়"
রাউত বলেন, মহারাষ্ট্রের জনগণ কখনই অসৎ হতে পারে না। শিন্দে গোষ্ঠীর সব প্রার্থীর একযোগে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাকে তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছেন। তিনি এই ফলাফলকে পরিকল্পিত চক্রান্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, "এটা গণতন্ত্রের রায় নয়, বরং একটি ইচ্ছাকৃত ষড়যন্ত্র।"
আদানি প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রকে আক্রমণ
গৌতম আদানির বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক দুর্নীতির মামলা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে রাউত বলেন, "২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় আদানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। সেই ইস্যু থেকে মনোযোগ সরানোর জন্যই এমন প্রতারণামূলক কাজ করা হয়েছে।" রাউত আরও অভিযোগ করেন, মুম্বই সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল আদানির পকেটে যাচ্ছে এবং এই নির্বাচনের ফলাফল তারই একটি প্রমাণ।
"জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চাপানো সিদ্ধান্ত"
রাউতের বক্তব্য অনুযায়ী, এমন ফলাফল মহারাষ্ট্রের জনগণের প্রকৃত রায় নয়। তিনি বলেন, "মহারাষ্ট্রের মানুষ জানে কী হচ্ছে, এমন সিদ্ধান্ত জনগণের ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে না।" তিনি আরও দাবি করেন যে, বিজেপি আগে লোকসভা নির্বাচনেও একইভাবে বিরোধী দলের শক্তিকে দমিয়ে দিয়েছিল এবং এবারও সেই একই কৌশল নেওয়া হয়েছে।
বিরোধী কণ্ঠস্বর দমনের কৌশল
রাউতের অভিযোগ, বিজেপি মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এমন এক পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে যেখানে কোনও শক্তিশালী বিরোধী নেতা থাকবে না। তিনি বলেন, "এটা বিজেপির পুরনো কৌশল। মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্রের স্থান সংকুচিত করার জন্যই এই ফলাফল পরিকল্পিতভাবে আনা হয়েছে।"
নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া
সঞ্জয় রাউতের এই তীব্র মন্তব্য ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তার দাবি অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের জনগণ এবং বিরোধী দলের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো গণতন্ত্র রক্ষা করা এবং এমন পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।