মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো, যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিস তৃতীয়বারের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। তাঁর সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন এনসিপি (জাতীয় কংগ্রেস পার্টি) প্রধান অজিত পাওয়ার এবং শিবসেনা প্রধান একনাথ শিন্ডে।
মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে অনুষ্ঠিত শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিসভা ও দপ্তর বণ্টন:
শপথ গ্রহণের পর, তিনটি দলের মধ্যে মন্ত্রিসভা ও দপ্তর বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। বিজেপি ২১ থেকে ২২টি বিভাগ পেতে পারে, শিবসেনা ১২টি এবং অজিত পাওয়ার ৯ থেকে ১০টি বিভাগের দাবি জানিয়েছেন।
ফড়নবিসের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী পদে আগমন:
২০১৪ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হন দেবেন্দ্র ফড়নবিস। তিনি পাঁচ বছর মহারাষ্ট্র সরকারের নেতৃত্ব দেন এবং ২০১৯ সালে বিজেপি সর্বাধিক আসন জিতলেও সরকার গঠন করতে পারেনি। পরবর্তীতে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে এনডিএ সরকার গঠন হলে ফড়নবিসকে ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী করা হয়।
সমঝোতা ও সরকার পরিচালনার বিষয়:
বুধবার সকালে বিজেপির বিধানসভা দলের বৈঠকে দেবেন্দ্র ফড়নবিসের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন হয়। এরপর মহাযুতি নেতাদের বৈঠকে ফড়নবিসের নাম চূড়ান্ত করা হয় এবং তিন নেতা রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানান। একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পাওয়ার জানিয়ে দিয়েছেন, এই সরকারকে তিনজন মিলে চালাবেন।
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণ:
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট ২৮৮টি আসন রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ১৪৫টি আসন প্রয়োজন। এবারের নির্বাচনে বিজেপি ১৩২টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়, এনসিপি পেয়েছে ৪১টি আসন। শিবসেনা ৮১টি আসন পেয়েছে, আর অন্যান্য দলের মধ্যে জেএসএস এবং আরএসজেপি যথাক্রমে ২টি এবং ১টি আসন জিতেছে।